সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্ড! জেমস বন্ড!’ নীল চোখের অন্তর্ভেদী চাহনির সঙ্গে সেই সদম্ভ ঘোষণাই দশকের পর দশক দর্শকদের মোহাবিষ্ট করে রেখেছে। সেলুলয়েডে সুপার স্পাইয়ের বন্দুকের পাশাপাশি তাঁর সুতীক্ষ্ণ জবানের কদর যে কী তা সবার জানা। কিন্তু এবার জেমস বন্ডের বুলিতেই লাগাম টানা হচ্ছে। স্রষ্ঠা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের জবানে সেন্সরের কাঁচি চলেছে। আর ‘পলিটিক্যাল করেক্টনেসে’র এই চেষ্ঠাকে হাস্যকর বলে তোপ দেগেছেন বিখ্যাত এবং বিতর্কিত লেখক সলমান রুশদি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক রিপোর্টে ‘দ্য টেলিপগ্রাফ’ দাবি করে যে, জেমস বন্ডকে নিয়ে লেখা নতুন উপন্যাসে বেশ কিছু শব্দ ও সংলাপ ছেটে ফেলা হয়েছে। ইয়ান ফ্লেমিংয়ের কলম থেকে আসা ধর্ষণ, সমকাম ও বর্ণ নিয়ে বেশ কিছু সংলাপ ছেটে ফেলা হয়েছে। যেমন, ‘দ্য সুইট ট্যাঙ্গ অফ রেপ’ ও ‘সমকাম প্রতিবন্ধকতা’। ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেসে’র দোহাই দিয়ে বন্ড সিরিজের আইনি সত্ত্বাধিকারী সংস্থা ‘Ian Fleming Publications Limited’-এর এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ঘনিয়েছে।
সোমবার তা নিয়েই মুখ খোলেন ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সাস’-এর লেখক সলনাম রুশদি। তাঁর কথায়, “জেমস বন্ড যে পলিটিক্যালি কারেক্ট বতে পারে এই ভাবনাটাই হাস্যকর।” একইভাবে, রোয়াল্ড ডালের বিখ্যাত রচনা ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’ থেকেও বেশকিছু শব্দ বাদ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। সলমান আরও বলেন, “আমরা এমন এক সময়ে বেঁচে আছি, আমার মতে, যখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রকাশ করার স্বাধীনতা আমার জীবৎকালে পশ্চিমী দেশগুলিতে সবচেয়ে বড় বিপদের মুখে পড়েছে। আমি এখন আমেরিকায় রয়েছি। আর দেখতে পাচ্ছি পাঠাগার কিংবা শিশুদের স্কুলের বইয়ের উপরে কীভাবে হামলা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ আর্থিক সংকটে অন্ধকারে আর্জেন্টিনা! মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছল ১০০ শতাংশে]
উল্লেখ্য, সলমন রুশদির (Salman Rushdie) ছুরিকাহত হওয়ার খবরে শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। সমস্ত উদ্বেগ দূর করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’, ‘মিডনাইট’স চিলড্রেনে’র লেখক। দীর্ঘ ৯ মাস পরে তাঁকে কোনও বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেল। পশ্চিমে যেভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডসের জন্য এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন রুশদি।