shono
Advertisement

সময়ের ফারাকেও বদলাল না দৃশ্য, একদা বাবা স্টিভের পোষ্য কুমির এখন ছেলের বশে

১৫ বছর পর একই চিড়িয়াখানায় গিয়ে সেই কুমিরকে খাওয়াল রবার্ট আরউইন৷ The post সময়ের ফারাকেও বদলাল না দৃশ্য, একদা বাবা স্টিভের পোষ্য কুমির এখন ছেলের বশে appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:53 PM Jul 05, 2019Updated: 05:53 PM Jul 05, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই চিড়িয়াখানা, সেই কুমির, সেই খাওয়ানো —একই প্রেক্ষাপট৷ শুধু বদলে গিয়েছে সেই চরিত্র, যিনি সরীসৃপকে এত যত্ন করে খাওয়াচ্ছেন৷ ১৫ বছর পর একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি৷ যা এই মুহূর্তে ভাইরাল নেটদুনিয়ায়৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: দাউদ পাকিস্তানেই, এবার ইসলামাবাদের মুখোশ খুলে দিল আমেরিকা ]

যাকে বলে একেবারে বাপ কা বেটা৷ জীবনভর হিংস্র জন্তুদের সঙ্গে থেকে, তাদের হাতেই জীবন দিতে হয়েছে ‘ক্রোকোডাইল হান্টার’ স্টিভ আরউইনকে৷ বাবার এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও ভেঙে পড়েনি ছোট ছেলেমেয়েরা৷ সেই বয়স থেকেই বাবাকে দেখে দুই ভাইবোন, বিন্দি আর রবার্টের বন্ধু হয়ে গিয়েছিল সেই হিংস্র বন্যপ্রাণীরা৷ বড় হয়ে এরাই বাবার জীবপ্রেমের আদর্শে এগিয়ে চলেছে৷

সবে পনেরোয় পড়েছে স্টিভের ছেলে রবার্ট৷ কুমির, সিংহ, হাঙরদের সঙ্গে বন্ধুত্বের পাশাপাশি রবার্ট ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারও৷ তবে এবার সে যা করল, তা যেন ফের তার বাবাকেই ফিরিয়ে আনল৷ অস্ট্রেলিয়ার সেই চিড়িয়াখানা, যেখানে স্টিভের নিত্য যাতায়াত ছিল, যেখানকার সরীসৃপরা স্টিভের উপস্থিতি মাত্রই সচল হয়ে উঠত, সম্প্রতি সেই চিড়িয়াখানায় পা রাখল রবার্ট৷ পরনে সেই একই পোশাক৷ যেন কমবয়সের স্টিভ৷ চিড়িয়াখানায় ঢুকেই রবার্ট চলে গেল একদা স্টিভের প্রায় পোষ্য কুমির মারে’র কাছে৷

১৫ বছরের ব্যবধান৷ মারের চেহারা পালটেছে৷ সবজেটে রং এখন কালচে৷ পালটেছে তার প্রভুও৷ মারের তুলনায় তার বর্তমান প্রভুও বেশ খানিকটা তরুণ৷ কিন্তু আশ্চর্য! নবাগতকে দেখে মোটেই তেড়ে এল না মারে৷ মুখ ফিরিয়ে চলেও গেল না৷ দিব্যি রবার্টের হাত থেকে খাবার খাওয়ার সময় খেলায় মেতে উঠল ১৫ বছর পেরিয়ে আসা কুমির৷ যেন ঠিক বুঝতে পেরেছে, স্টিভের মতোই তাঁর ছেলেও ওর বন্ধু৷

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তিরিশ বছর পর দ্বারোদ্ঘাটন শিবমন্দিরের, সংস্কার করে ফের পূজার্চনা]

এসব নিজেই টুইট করে জানিয়েছে রবার্ট আরউইন৷ দুটি ছবি পোস্ট করে সে৷ একটি তার বাবার মারেকে খাওয়ানোর ছবি, আরেকটি তার নিজের৷ ছবির উপরে লেখা – ‘বাবা এবং আমি মারেকে খাওয়াচ্ছি…একই জায়গা, একই কুমির – ১৫বছরের ব্যবধান৷’ ছবিতে এও দেখা যায়, স্টিভ ও রবার্ট – দুজনই মারেকে খাওয়াচ্ছেন জনসমক্ষে, অর্থাৎ চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের সামনে৷ টুইটারে এসব ছবি নস্টালজিক হয়ে পড়েছে নেটিজেনদের একাংশ৷ রবার্টকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সবাই৷ যারা স্টিভের কাজ দেখেছেন, তারা অনেকেই বলছেন, কিশোর রবার্টের মধ্যে অবিকল তার বাবার ছায়া৷ বাবার মতোই সে ভয়ংকর বন্যপ্রাণীগুলোর বন্ধু হয়ে তাদের সঙ্গে জীবন কাটানোর ব্রত নিয়েছে যেন৷ আজকের দিনে যখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিপন্ন বন্যপ্রাণ, সেখানে এভাবেই স্টিভ এবং তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম জ্বালিয়ে রাখছে বন্ধুত্বের নরম আলো, সুনিবিড় আশা৷

The post সময়ের ফারাকেও বদলাল না দৃশ্য, একদা বাবা স্টিভের পোষ্য কুমির এখন ছেলের বশে appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement