সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরাণের বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী রাম মন্দিরের পাশ দিয়ে সরযু নদীর বয়ে যাওয়ার কথা। বর্তমানে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গেলেও প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের নিচে দিয়ে এখনও বয়ে চলেছে সরযু নদীর জলস্রোত। বিষয়টি জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রমাণ বহন করলেও এর ফলে ধস নেমে প্রস্তাবিত মন্দিরের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ইতিমধ্যেই অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Temple) ট্রাস্টের তরফে এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IITs) -গুলিকে জানানো হয়েছে। মন্দিরের জন্য নির্দিষ্ট এলাকার নিচে সরযু নদীর (Saryu river) স্রোত পাওয়া যাওয়ার ফলে আরও ভাল মডেল তৈরির অনুরোধ জানিয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বাধীন মন্দিরের নির্মাণ কমিটির বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে খবর। এরপরই শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, মন্দিরের শক্তিশালী পরিকাঠামো তৈরির জন্য আইআইটিগুলিকে আরও ভাল মডেল দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুলের চেয়ে চাষবাসটা ঢের ভাল বুঝি, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান’, খোঁচা রাজনাথের]
এপ্রসঙ্গে ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, বেশ কয়েকটি পিলার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নিচে বসানোর ২৮ দিন পর পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওই স্তম্ভগুলির উপর ৭০০ টন ওজন চাপিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, আশাতীত ফল পাওয়া যায়নি। মেশিনে যে রিডিং পাওয়া যায় সেটা আশা করা হয়নি। আসলে প্রস্তাবিত মন্দিরের গর্ভগৃহের পশ্চিম দিক দিয়ে সরযু নদী বয়ে চলেছে। যেখানে পিলারগুলি বসানো হয়েছে তার পাশেই নদীর জল ও বেলেমাটি রয়েছে। নরম বালি মন্দিরের স্থাপত্যের ভর ধরে রাখতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছেন। তাই বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছেন কীভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে নদীর জলকে আটকে রাখা যায়। কীভাবে বালির উপর নিমার্ণ করে কংক্রিট পিলারের স্থায়িত্ব বাড়ানো যায়।