অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: প্রয়াত বাঙালির প্রিয় শিশুসাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। শোনা গিয়েছে, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকাল এগারোটা দশ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪১ সালের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার ষষ্ঠীতলায় জন্ম ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের। পরে থাকতেন রামরাজাতলায়। কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনা শুরু করেন। প্রিয় ছিল অ্যাডভেঞ্চার। শোনা যায়, সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গেও সময় কাটাতেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তার গল্প ও উপন্যাসে ভ্রমণের ছাপ পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: রুক্মিণীর পর আরেক ‘নটী বিনোদিনী’ পেল টলিপাড়া, চিনতে পারছেন কে এই অভিনেত্রী?]
ছয়ের দশকে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। আটের দশকে ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র কাহিনি লিখতে শুরু করেন। বাবলু, বিলু, ভোম্বল, বাচ্চু, বিচ্ছু এবং তাদের প্রিয় সারমেয় পঞ্চুর কাহিনি কিশোর পাঠকদের মন জয় করে নেয়। পরে তা কার্টুন হিসেবে ছোটপর্দাতেও দেখা যায় এবং এই কাহিনি অবলম্বনে সিরিয়ালও তৈরি হয়।
‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ ছাড়াও ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী, কিশোর গোয়েন্দা তাতারকে নিয়ে গল্প লিখেছেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। আগামী ৯ মার্চ সাহিত্যিকের ৮২তম জন্মদিন ছিল। জানান তাঁর মেয়ে ইন্দ্রাণী হাজরা। কিন্তু তা আর পালন করা হল না।