সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ৫ মাস জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। চলতি মাসেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এবার ইডি ও সিবিআই জট ছাড়িয়ে কে কবিতার জামিন কিছুটা হলেও আশার আলো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়েকে মার্চ মাসে দিল্লি আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। এর একমাস পর তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করে সিবিআই। জোড়া তালায় বন্দি হয়ে বার বার জামিনের আবেদন জানিয়ে ছিলেনও হতাশ হন কে কবিতা। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের মঙ্গলবার ছিল তাঁর জামিন মামলার শুনানি। সেখানে ইডি ও সিবিআইকে আদালত প্রশ্ন করে আবগারি মামলায় কবিতা জড়িত তা প্রমাণের জন্য কী তথ্য রয়েছে? সলিসটর জেনারেল জানান, উনি নিজের ফোন ফরম্যাট করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। তবে সরকার পক্ষের দাবি খণ্ডন করে কবিতার আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, নিজের ফোন যে কেউ বদলাতে পারেন। কে কবিতার বিরুদ্ধে নিজের মোবাইলে তথ্য নষ্ট করার যে অভিযোগ উঠেছে তার ভিত্তি নেই। অযথা এই নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালেই মহিলা চিকিৎসকের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মার রোগীর! প্রকাশ্যে ভিডিও]
দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর শীর্ষ আদালত জানায়, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় যে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে মনে হয় না কবিতাকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে মুকুল রোহতগি জামিনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, এক জন মহিলাকে জামিন দেওয়া যেতেই পারে। উনি দেশের একজন দায়িত্ববান মহিলা। যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে তাতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেবেন। তিনি প্রাক্তন সাংসদ। ফলে তাঁর পালিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। এর পরই কবিতার জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: এবার নার্সিং পড়ুয়াকে ধর্ষণ! শরীরে নৃশংস আঘাত, ক্ষোভের আগুনে ফেটে পড়ল মহারাষ্ট্র]
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ হায়দরাবাদে কবিতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। অভিযোগ তোলা হয়, দিল্লির আবগারি নীতিতে বিশেষ সুবিধা পেতে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি। ইডির পর ১১ এপ্রিল জেলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী।