সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ধর্ষণের ঘটনার কমতি নেই। নিজের স্কুলে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল এক নাবালিকা। অভিযোগ, মাঝপথে তিন ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। এর পর ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। বিহারের (Bihar) বক্সার জেলার এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর পকসো (POCSO) আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্যের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গ্রামের পথে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সিরকৌল থানার মধ্যে পড়ে। ২৬ জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে নাবালিকাকে অপহরণ করে তিন অভিযুক্ত। এরপর নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একে একে তিন জনে মিলে ধর্ষণ করে। কোনও মতে বাড়ি ফেরে নির্যাতিতা। গোটা ঘটনা পরিবারকে জানায় সে। এর পরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দ্রুত ঘটনার তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার আগে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি, বছর ঘুরলেও পাকা বাড়ির স্বপ্ন অধরা পদ্মশ্রী শিল্পীর]
বক্সারের এসপি মনীশ কুমার বলেন, “এফআইআর-এর পরেই ব্যবস্থা নিই আমরা। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা হয়। দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। ঘটনাটি সিরকৌল থানা এলাকায় ঘটেছে। পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই বিহারে পুর্নিয়া জেলায় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন বছর ৩৫-এর এক শিক্ষিকা।
[আরও পড়ুন: বিবিসির তথ্যচিত্রই প্রথম নয়, এর আগেও সরকারের রোষে পড়েছে বহু ডকুমেন্টারি, রইল তালিকা]
জানা গিয়েছে তিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা। বৈশালী থেকে বাসে উঠেছিলেন। একটা সময় বাস থেকে অধিকাংশ যাত্রী নেমে যান। সেই সময় শিক্ষিকা ছাড়া বাসে ছিলেন তিন পুরুষ যাত্রী, বাস কন্ডাক্টর ও চালক। তিন যাত্রী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাদের বাধা দেননি কন্ডাক্টর ও চালক। ফলে বিপজ্জনক ভাবে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামতে বাধ্য হন মহিলা। গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।