shono
Advertisement

বাঙালির চন্দ্রস্পর্শ! নাসার হাত ধরে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে উত্তরপাড়ার তরুণের গল্প

এবছরই চাঁদের মাটিতে পৌঁছে যাবে প্রায় ১২০০ লেখক-কবি-শিল্পীর শিল্পকর্ম!
Posted: 02:52 PM Mar 02, 2021Updated: 03:41 PM Mar 02, 2021

বিশ্বদীপ দে: ‘আর্টিস্টস অন দ্য মুন’। এবছরের মধ্যেই চাঁদে (Moon) পাঠানো হচ্ছে তিনটি টাইম ক্যাপসুল (Time capsule)। যার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছে যাবে প্রায় ১২০০ লেখক-কবি-শিল্পীর শিল্পকর্ম! আর সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এক বঙ্গতনয়ের গল্পও। নিঃসন্দেহে বাঙালির জন্য যা এক মস্ত সুখবর। 

Advertisement

বিশিষ্ট লেখক, পদার্থবিদ ও ‘গোল্ডেন গ্লোব’-এর প্রযোজক স্যামুয়েল পেরালতা এই কর্মকাণ্ডের হোতা। নিজে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সকলকে এবিষয়ে বিশদে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান লেখক ধনঞ্জয় বিজয়রত্ন সম্পাদিত সংকলন ‘মোহ্স ৫.৫: মেগাস্ট্রাকচারস অ্যান্থোলজি’-র গল্পগুলিও। এই সংকলনেই স্থান পেয়েছিল সোহম গুহর ইংরেজি গল্প ‘আওয়ার লাইভস অন দ্য টাইডস’-ও। যা বাকি গল্পের সঙ্গেই এবার চাঁদে পৌঁছে যাবে।

[আরও পড়ুন : ‘দেশকে নিয়ে গর্ব করাই আত্মনির্ভরতার প্রথম ধাপ’, ‘মন কি বাত’-এ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]

২০১৯ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষের পা রাখার ৫০ বছর পূর্তির সময়ই নাসা প্রথমবারের জন্য অনুমতি দেয় চাঁদে বাণিজ্যিক উড়ানের। অনুমতি পায় দু’টি সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রবটিক’ ও ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’। ‘অ্যাস্ট্রবটিক’-এর ল্যান্ডার পেরিগ্রিন এবছরের জুন-জুলাইয়ে চাঁদে নামবে। তার মধ্যেই থাকবে স্যামুয়েল পেরালতা প্রেরিত শিল্পকর্মগুলি। তিনটি টাইম ক্যাপসুলে থাকবে মোট ১১৩৪ জনের লেখা-আঁকার নিদর্শন। 

[আরও পড়ুন : ‘শিগগিরই বাজারে মিলবে ৩-৪টি ভ্যাকসিন, বেছে নিতে পারবেন মানুষ’, দাবি AIIMS প্রধানের]

টাইম ক্যাপসুল ঠিক কী? সহজ ভাবে বললে এটা হল এমন এক তথ্যপঞ্জি, যা আসলে সংরক্ষিত থাকে ভবিষ্যতের জন্য। তার মধ্যে শিল্প, বিজ্ঞান, ইতিহাস যে কোনও ধরনের তথ্যই থাকতে পারে। এমনিতে চাঁদ পৃথিবীর তুলনায় অনেক শান্ত। বলা হয়, নিল আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদের মাটিতে রাখা পায়ের ছাপ হয়তো মানব সভ্যতা ধ্বংসের পরেও থেকে যাবে। যদি না চাঁদের মাটিতে কোনও মহাজাগতিক বিপর্যয়ের রেশ এসে পৌঁছয়। একই ভাবে থেকে যাবে এই টাইম ক্যাপসুলও। কেমন লাগছে এমন এক গৌরবের অংশ হতে পেরে? ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-কে সোহম গুহ জানাচ্ছেন, ”ব্যাপারটা যে সত্যিই অভাবনীয় তাতে সন্দেহ নেই। এখনও যেন ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত. সোহমের গল্পটি প্রথমে ইংরেজিতে লেখা হলেও পরে নিজেই গল্পটির একটি বাংলা ভাষ্যও রচনা করেছেন তিনি। ‘ঢেউ’ নামের সেই গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল বাংলার প্রথম ও একমাত্র কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি ওয়েবজিন ‘কল্পবিশ্ব’-র উৎসব সংখ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement