সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই অঙ্গে কতই না রূপ! মহাকাশ থেকে যেমন পৃথিবীর নানা রূপ দেখে বিস্মিত হন মহাকাশচারীরা, তেমনই প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলেও রূপের ছটা কম নয়। লাল গ্রহের দু ধার তুষারশুভ্র। ঝিরিঝিরি বরফে ঢেকেছে দুই মেরুপ্রান্ত। শীত নেমেছে মঙ্গলে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে পাঠানো মার্স এক্সপ্রেস মহাকাশযানের হাই রেজোলিউশন ক্যামেরায় তোলা ছবিতে প্রতিবেশী গ্রহের ঋতুবদল স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, যা দেখে আপ্লুত বিজ্ঞানীরা। টুইটারে সেসব ছবি শেয়ারও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে নামল শীতল রাত, বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের সব আশা শেষ]
মঙ্গলের রহস্য উদঘাটনে নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি তো কাজ করছেই। তবে তারও আগে সেখানে মঙ্গলের আকাশে চলে গিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস। এই মহাকাশযানটিতে রয়েছে হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা। এর অরবিটার ও ল্যান্ডার মঙ্গলের মাটিতে প্রাণের সন্ধান করে বেড়াচ্ছে সেই ২০০৩ সাল থেকে। সম্প্রতি মঙ্গলের ঋতুবদলের ছবি ধরা পড়েছে এই স্পেসক্র্যাফটের ক্যামেরায়। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, দুই মেরুপ্রান্তে বরফের স্তর। আকাশে ধুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে বরফের কুচি। যদিও মঙ্গলের দুই মেরু প্রদেশের আবহাওয়া পৃথক। উত্তর খানিক শীতল, তো দক্ষিণ অনেকটাই উত্তপ্ত। তবে ঋতুবদলের সময় দক্ষিণ মেরুতে বরফ পড়ে অনেক তাড়াতাড়ি। এবং তা বেশি উদ্বায়ী। তুলনায় উত্তর মেরুর বদল কিছুটা বিলম্বিত। এখানে বরফের পুরু স্তর থেকে যায়।
এমনিতে পৃথিবীর তুলনায় লাল গ্রহ অনেকটাই শীতল। সাধারণ তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে। এই তাপমাত্রায় বরফ গলে জল হওয়ার উপায় নেই। অভিকর্ষ বল অনেকটা কম হওয়ায় এখানকার বায়ুস্তর খুব পাতলা। বরফকণা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তা জমাট বেঁধে মেঘের আকার নেয়, ভারী হয়ে সেই মেঘ মঙ্গলপৃষ্ঠে নেমে এলে সাদা হয়ে যায়। সেই ছবিই দেখা গিয়েছে মার্স এক্সপ্রেসের ক্যামেরায়। বছর তিন, চার আগেও এই স্পেসক্র্যাফটই জানান দিয়েছিল, মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে বরফের স্তর দেখা গিয়েছে। সেখানেই রয়েছে একটি হ্রদ, খনিজ স্তরও।
The post লাল গ্রহে শ্বেতশুভ্র তুষারকুচি, শীত নেমে আসা মঙ্গলে ভিন্ন রূপের ছবি পাঠাল মার্স এক্সপ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.