shono
Advertisement

ব্যাকটেরিয়া বধে ব্যর্থ অ্যান্টি বায়োটিক! শত্রু খতমের নয়া ব্রহ্মাস্ত্রের হদিশ দিলেন গবেষকরা

ব্যাকটেরিয়া বধের নতুন পথ বাতলে দিলেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
Posted: 09:36 AM Jan 20, 2021Updated: 09:38 AM Jan 20, 2021

গৌতম ব্রহ্ম: নিকষ কালো অন্ধকারে সোনালি আলোর রেখা। হাতে এল কার্যত অজেয় হয়ে ওঠা মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া বধের অস্ত্র ‘ইমিউনো অ্যান্টিবায়োটিক্স’। মাইকোব্যাকটিরিয়াম, ই-কোলাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ক্লেবসিয়েল্লার মতো এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) রয়েছে যা ওষুধে মরছে না। এর জেরে জটিল হচ্ছে যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, কিডনি ও পেটের সমস্যা। চিকিৎসকদের অসহায়তা বেড়ে গিয়েছে নতুন কোনও অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার না হওয়ায়। এই পরিস্থিতিতে নাছোড় ব্যাকটেরিয়া বধের নতুন পথ বাতলে দিলেন ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

Advertisement

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ‘ইমিউনো অ্যান্টিবায়োটিক্স’ সরাসরি ব্যাকটিরিয়ার জৈবজীবনে হামলা চালানোর পাশাপাশি টি-সেলকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়া আক্রান্ত কোষকেই নিকেশ করবে। সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি বিশ্ববন্দিত ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

[আরও পড়ুন : পৃথিবীর চেয়ে ভারী হয়েও অধিক গতিশীল! সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহের সন্ধান]

কীভাবে কাজ করবে এই ‘ইমিউনো অ্যান্টিবায়োটিক্স’?
ব্যাকটিরিয়ার কোষ প্রাচীর তৈরি ও মেটাবলিজমে প্রয়োজন ‘আইসোপ্রেনয়েড’। ব্যাকটিরিয়ার বেঁচে থাকার অন্যতম রসদ এই রাসায়নিক। গবেষণাপত্র উদ্ধৃত করে ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, এই আইসোপ্রেনয়েড তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে ট্রাইফিনাইল ফসফোনিয়ামের। এই ড্রাগটিকেই ইমিউনো অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছেন গবেষকরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, যে রাসায়নিক থেকে আইসোপ্রেনয়েড তৈরি হয়, সেটি ব্যাকটিরিয়ার শরীরে মজুত থাকে। মানবশরীরের গামা-ডেল্টা নামক টি-সেল এই রাসায়নিককে চিনতে পারে এবং পুরো আক্রান্ত কোষকেই বিষাক্ত রাসায়নিক নিঃসৃত করে মেরে ফেলে। এই ‘নভেল’ কায়দায় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটিরিয়া মোকাবিলাই আগামীদিনের জীবাণুঘটিত রোগের চিকিৎসায় ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

[আরও পড়ুন : উষ্ণায়নের অভিশাপ থেকে হিমবাহকে রক্ষা করতে বিশেষ ‘কম্বল’! চমকপ্রদ পদক্ষেপ চিনের]

অ্যান্টিবায়োটিকের অবৈজ্ঞানিক ব্যবহার বহু ব্যাকটিরিয়াকেই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট করে তুলেছে। অনেকক্ষেত্রেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাঁড়ারে মজুত অ্যান্টিবায়োটিক কাজে আসছে না। কঠিন হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসকদের কাজ। এমনটাই অভিমত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাসের। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সেপসিসের অমোঘ ছোবলে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। এই পরিস্থিতিতে ইমিউনো অ্যান্টিবায়োটিক সত্যিই আশার আলো। চিকিৎসকদের লড়াইকে অনেক বেশি জোরদার করবে এই ওষুধ। কমাবে মৃত্যুহার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement