গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: কেঁচো খুঁড়তে নয়, চাষের জমিতে ধড়মড়িয়ে লাফিয়ে যদি চলে আসে বিশালাকার কেউটে (Cobra), তাহলে কী করবেন? কেউটে থেকে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন নিশ্চয়ই? কিন্তু সুন্দরবন (Sunderban) লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের দুই অসম সাহসী যুবক মোটেই তা করেনি। তাঁরা বরং সাহসিকতাকে সম্বল করে সেই বিপন্ন কেউটের প্রাণ বাঁচালেন। তাঁদের এই কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বনদপ্তরের কর্মী, আধিকারিকরা।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকাল হতেই মাঠে চাষ করতে গিয়েছিলেন চাষিরা। হঠাৎই তাঁরা চিৎকার শুনতে পান। জানতে পারেন, জমির পাশে একটি বাড়িতে বিরাট সাপ (Snake) ঘরের মধ্যে কাতরাচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগরে। প্রাণে বাঁচতে জনা কয়েক ব্যক্তি সাপটিকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছে। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচতে সাপটি লাফিয়ে এসে পড়ে চাষের জমিতে।
[আরও পডুন: ভূগর্ভ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে গনগনে কাদার তাল! কাস্পিয়ান সাগরের নয়া আতঙ্ক Mud Volcano]
তাকে ওভাবে লাফাতে দেখেই বুঝতে এই যুবকরা বুঝতে পারে, আক্রমণ নয়, প্রাণে বাঁচার জন্যই তার লম্ফঝম্ফ। তখন সাহসে ভর করে স্থানীয় যুবক সামাদ গাজি, রজত গাজি সাপটিকে উদ্ধার করে। খবর পাঠানো হয় বনদপ্তরে। খবর দিলে কয়েক ঘন্টা পরে বনদপ্তরের কর্মীরা এসে সাপটিকে নিয়ে যায়। যুবকরা জানান, সাপ ধরার কিছু কৌশল জানা আছে। তাই ওই সাপটি স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত বাঁচাতে সক্ষম হন। তাঁদের কথায়, ”সাপ বাস্তুতন্ত্রের (Ecology) অংশ। এদের সংখ্যা কমে গেলে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কথা মাথায় রেখেই সাপটিকে বাঁচিয়েছি।” ওই দুই যুবকের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বনদপ্তর আধিকারিকরাও। প্রায় ৬ ফুট লম্বা সাপটিকে সুস্থ করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান বনদপ্ততরের কর্তা সুবীর ঘোষ।