shono
Advertisement

চোখ রাঙাচ্ছে উষ্ণায়ন, লন্ডন-সহ শহরাঞ্চলে সবুজায়নের হিড়িক ব্রিটিশদের

পথ দেখিয়েছে দুই ছোট এলাকা ক্যামডেন, ক্রয়ডন।
Posted: 02:08 PM Oct 20, 2020Updated: 02:10 PM Oct 20, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নগরায়ন মানেই কি বহুতল, অফিসপাড়া, চওড়া রাস্তা – এসবই? আর সবুজায়নের যত দায় সব গ্রামাঞ্চলে? চিরাচরিত এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসছেন ব্রিটিশরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের মহাবিপদ টের পেয়ে নতুন করে নগরায়নের পরিকল্পনা করছে ইংল্যান্ড (UK)। বলা হচ্ছে, শুধু বহুতল আর অফিসে শহর ঢেকে দিলে চলবে না। অনেকটা অংশ জু়ড়ে থাকুক গাছেদের সারি। ভাবনা অনুযায়ী কাজ। ইতিমধ্যে লন্ডন বরোর দুটি এলাকা – ক্যামডেন (Camden) এবং ক্রয়ডনের (Croydon) এক তৃতীয়াংশই ঢেকেছে গাছে। শহর সবুজায়নে এভাবে এগিয়ে চলছে খাস ব্রিটিশ রাজধানী।

Advertisement

এতদিন লন্ডন-সহ ইংল্যান্ডের অন্যান্য শহর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ছিল একরকম। রাজধানী শহরের সবেতেই নগরায়নের ছোঁয়া। এভাবেই এত বছর চলে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি উষ্ণায়নের অভিশাপ একটু বেশি করেই টের পাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলি। তাই ভাবতে হচ্ছে নতুন করে। কলকারখানা, অফিস-কাছারিতে উৎপাদন বাড়ালেও তপ্ত পৃথিবীতে শেষমেশ জীবন বাঁচানো যে কতটা কঠিন, সম্প্রতি তা বুঝতে পেরেছে ইংল্যান্ড। তাই পরিবেশ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে ব্রিটিশদের মধ্যে। শোনা যাচ্ছে, পরিবেশ (Environment) রক্ষায় আইন সংশোধনও সম্ভাবনাও বাড়তে বরিস জনসনের আইনসভায়। তবে তার আগেই শহরকে নতুন করে সাজিয়ে পথ দেখাল দুই ছোট এলাকা – ক্যামডেন এবং ক্রয়ডন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, এই এলাকার এক তৃতীয়াংশে সবুজায়ন সম্পূর্ণ।

[আরও পড়ুন: বৃষ্টির তোড়ে সরে যেতে পারে হিমালয় পর্বতমালা! গবেষণায় মিলল গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত]

দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে গাছপালার সংখ্যা বেশি। তুলনায় উত্তরে কম। আবার যেসব গ্রাম্য এলাকায় চাষবাস হয়, সেখানে সবুজ জমির তুলনায়
গাছের সংখ্যা কম।

এবার তাই সবুজায়নের জন্য কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নতুন পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। কৃষিকাজ এবং খামার এলাকায় শুধুই জমি থাকবে। বরং সেখানে সেচ ব্যবস্থা, জমির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনের পথে হাঁটা হতে পারে। বৃক্ষরোপণ বাড়ানো হবে মূলত শহরাঞ্চলে। কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে ঘিঞ্জি হয়ে ঘরবাড়ি উঠেছে। সেখানে প্রতিটি বাড়ির সামনে ন্যূনতম এলাকাজুড়ে বাগান করা আবশ্যক।

[আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! চিনের আকাশে একসঙ্গে ৩ ঘণ্টা ঝলমল করল তিনটি সূর্য, পিছনে কোন রহস্য?]

সবুজায়নে ব্রিটিশদের পরিকল্পনার বহর দেখে পরিবেশবিদরা বলছেন, বিলম্বিত বোধোদয়। এতদিনে তাঁরা বুঝতে পারছেন যে গাছপালা শুধু অক্সিজেন উৎপাদনই করে না, বাতাস শুদ্ধ করে, মানুষের স্বাস্থ্য ভাল করে তোলে। আসলে ইঁদুরদৌড়ে নেমে প্রকৃতি থেকে বহুদিনই অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিলেন এসব উন্নত দেশের নাগরিকরা। এবার যেন সেই প্রকৃতিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তার কুফল। ব্রিটেন তো সচেতন হয়েছে। অন্যরা কি এগোবেন ইংরেজদের পথ ধরে? ভারতের বিভিন্ন শহরেই বা সবুজায়নের কী পরিকল্পনা? প্রশ্নগুলো থাকছেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement