নব্যেন্দু হাজরা: যাত্রী ভোগান্তি কমাতে রাস্তায় নামতে চলেছে ২০০টি এসি সিএনজি বাস। মাঝারি এবং বড় সাইজের তিন ধরনের বাতানুকূল বাস কিনবে রাজ্য। ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাসগুলো কয়েক মাসের মধ্যেই নামবে রাস্তায়। এই বাস কেনার ব্যাপারে অর্থদপ্তরের ছাড়পত্র মিলেছে। জানানো হয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া করে নিয়ম মেনে এই বাস কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে। মিডি, সেমি ডিলাক্স এবং ডিলাক্স এই তিন ধরনের বাস নামানো হবে। কোন বাসের কত দাম হবে, তাও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এই বাসগুলো চলে এলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। যাত্রী হয়রানিও কমবে।
কয়েক মাস আগেই নতুন বাস কিনতে চেয়ে নবান্নে আবেদন জানিয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। অবশেষে তাতে সম্মতি মিলেছে। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রায় ৯০০ চালক-কন্ডাক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এবার একেবারে নতুন বাস কেনার সবুজ সংকেত দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২ মিটারের সেমি ডিলাক্স বাস কেনা হবে ১২০টা। যার একেকটির দাম ৬৫ লক্ষ টাকা। একই মাপের ডিলাক্স বাস (পুশ ব্যাক সিট) কেনা হবে ৫০টা। যার দাম ৭০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে। আর ৯ মিটারের মিডি বাস কেনা হবে ৩০টা। যার দাম হবে ৪২ লক্ষ টাকা করে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে পরিবহণ দপ্তর নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন। রাস্তায় যাত্রী হয়রানি কমাতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাহিদা অভাব-অভিযোগ শুনতে বলেন পরিবহণমন্ত্রীকে। আর তার পরই দপ্তরের সচিবকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামেন পরিবহণমন্ত্রী। পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, রাস্তায় বাসের সংখ্যা বাড়াতে অন্তরায় হয়েছিল ড্রাইভার-কন্ডাক্টরের আকাল। বাস থাকলেও অভাব হচ্ছিল চালক ও কন্ডাক্টরের।
চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগের অনুমোদন মেলায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অক্সিজেন পায়। তবে দীর্ঘদিন পর নতুন বাস কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করল নবান্ন। বেশ কয়েকবছর আগে ৮০টা বৈদ্যুতিক বাস কেনা হয়েছিল। আর এবার আসছে সিএনজি বাস। এই বাস চললে শহরে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দপ্তরের কর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য একটি বিষয়। রাজ্যে এখনও সেভাবে সিএনজি-র পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। সিএনজি গাড়িকেও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় গ্যাস ভরতে। এই পরিস্থিতিতে ২০০ খানা এসি বাস এলে তার আগে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, সে কথা মানছেন দফতরের কর্তারা।
