সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও শি জিনপিং (Xi Jinping)? এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা কথা থাকলেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতা বসবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দ ক্রমেই বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উজবেকিস্তানে মোদির যে কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে জিনপিং-মোদির বৈঠকের কথা নেই। তবে বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন, ঘটনাপ্রবাহ অনুযায়ী বাকি বৈঠকগুলির কথা জানানো হবে। ফলে জিনপিং-মোদি বৈঠক নিয়ে সংশয় থাকলেও তা যে হবে না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবার রাতে মোদি পৌঁছেছেন সমরখন্দে। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা দেরিতেই সেখানে গিয়েছেন তিনি। যার ফলে প্রাক বৈঠক অনুষ্ঠান কিংবা নৈশভোজ, কোনওটাতেই অংশ নেওয়া হয়নি তাঁর। প্রশ্ন উঠছে, জিনপিং ও শাহবাজকে এড়াতেই কি এই কৌশল? এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, “এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য রওয়ানা হচ্ছি। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েও মত বিনিময় হবে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।”
[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের পর লাগাতার বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ, হাই কোর্টে দায়ের মামলা]
এদিন বেলায় এসসিও বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা মোদির। পরে বিকেলে একে একে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইওইয়েভ, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠকের দিকে নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে নিঃসন্দেহে জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিন ও মোদির আলাদা বৈঠক হয় কিনা সেই বিষয়েই সকলের কৌতূহল তুঙ্গে। জিনপিংও পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজ এড়িয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন কিনা সেদিকেও নজর থাকবে। কোভিড অতিমারীর পরে এই প্রথমবার চিনের বাইরে কোনও বৈঠকে অংশ নিতে চলেছেন জিনপিং।