সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রসগোল্লা ও সংস্কৃতি নিয়ে ওড়িশাবাসীর ভাবাবেগকে আঘাত করায় গ্রেপ্তার দিল্লির সাংবাদিক অভিজিৎ আইয়ার মিত্র। শনিবার এমনই জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল যে, এক বছর আগে রসগোল্লা নিয়ে করা তাঁর একটি মন্তব্যের জন্যই গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সেই দাবিকে ‘ভ্রান্ত’ বলে ঘোষণা করেছে ওড়িশা পুলিশ। তাঁদের দাবি, ওড়িশাবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করাই গ্রেপ্তারির মূল কারণ।
[এজেন্টের তৎকাল টিকিট বৈধ নয়, জানাল আইআরসিটিসি]
কী বলেছে পুলিশ? পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘রসগোল্লা নিয়ে মন্তব্যের জন্য আইয়ার মিত্রর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে যা প্রকাশিত হয়েছে, তা শুধুই অপপ্রচার এবং মিত্রর ‘প্রকৃত কীর্তিকলাপ’ লুকোনোর চেষ্টা। সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওড়িশার স্থাপত্য-ভাস্কর্য-শিল্প-সংস্কৃতি, জগন্নাথদেব এবং ওড়িয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে করা তাঁর কুরুচিকর এবং আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য।’’ উল্লেখ্য, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমটি গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুরীর কোনারক থানায় এবং দ্বিতীয়টি ভুবনেশ্বরের শহিদ নগর থানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর। পুলিশের দাবি, অভিজিতের এই মন্তব্যের ফলে ওড়িশাবাসীর ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, শান্তি ভঙ্গ হয়েছ। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “সাংবাদিকের মন্তব্য রাজ্যে সম্প্রীতি-রক্ষার ক্ষেত্রে হানিকর। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে অপশব্দ প্রয়োগ করে তিনি তাঁদের উত্তেজিত করারও চেষ্টা করেছেন, যা অনুচিত।”
[ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফ কনভয়ে মাওবাদী হামলা, শহিদ ৪ জওয়ান]
মঙ্গলবার আইয়ার মিত্রকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পরে তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, অভিজিতের যে সব মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে, তার কোনওটা পুরীর বিখ্যাত কোনারক মন্দির নিয়ে, কোনওটা আবার রসগোল্লা নিয়ে। রসগোল্লা কোথায় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তা নিয়ে যখন বাংলা এবং ওড়িশার লড়াই চলছিল, তখন অভিজিৎ তাঁর ব্যঙ্গাত্মক টুইটে বাংলাকেই সমর্থন করেছিলেন। টুইট করে তিনি তখন বলেছিলেন, “সকলে জানে, ওড়িশা বলে আলাদা করে কিছু নেই। ওড়িশা আসলে বাংলারই দক্ষিণপ্রান্ত।” আবার কোনারকের মন্দির নিয়ে এক ভিডিও ফুটেজে অভিজিৎ বলেছিলেন, “একে টেম্পল না বলে হাম্পল বলা উচিত।”
The post ওড়িশার সংস্কৃতিকে অবমাননার অভিযোগ, গ্রেপ্তার সাংবাদিক appeared first on Sangbad Pratidin.