সুব্রত বিশ্বাস: করোনাতঙ্কে ঘরবন্দি বঙ্গবাসী। পুজোর মরশুমে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মন উড়ু-উড়়ু। মন টানছে পাহাড়-সমুদ্র। সে কথা মাথায় রেখেই শিয়ালদহ এবং ভুবনেশ্বরের (Sealdah-Bhubaneswar) মধ্যে চলাচলকারী স্পেশ্যাল ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারণ করল ভারতীয় রেল। এবার থেকে ট্রেনটি ভুবনেশ্বরের বদলে যাবে পুরী (Puri) পর্যন্ত। পুরী থেকে ফিরবে শিয়ালদহ। ২ অক্টোবর থেকে চালু হয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন চলবে শিয়ালদহ-পুরী স্পেশ্যাল। উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখেই আগামী ১ অক্টোবর থেকে হাওড়া ডিভিশনের সব রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলে যাচ্ছে। তবে শিয়ালদহের গুরুত্বপূর্ন স্টেশন ছাড়া অন্য স্টেশনের রিজার্ভেশন কাউন্টার খোলা হবে না। কলকাতার ধর্মতলা ছাড়া অন্য সব কাউন্টার বন্ধই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানান, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বাড়ছে। টিকিটের চাহিদা বাড়ায় কাউন্টারগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহের কমার্শিয়াল বিভাগের যুক্তি, এখন আশি শতাংশ টিকিট ই-টিকিট। কাউন্টারে বিক্রি ৬ শতাংশের টাকা রেলের ভাঁড়ারে আসছে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বাড়লে রিফান্ডের পরিমান বাড়বে। যে টাকা যোগান দেওয়া অসুবিধার হবে। এই চিন্তা করে বাড়তি কাউন্টার খোলা হবে না। এদিকে রেলের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার রাত ৮টার সময় স্পেশ্যাল ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। পরের দিন সকাল ৪ টে ৩৫ মিনিটে ট্রেনটি পুরীতে পৌঁছবে। এর ভাড়া হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো।
[আরও পড়ুন ; দমদম বিমানবন্দরে আটক ‘চিনে’র তৈরি উচ্চপ্রযুক্তির ড্রোন, রহস্য সমাধানে দুঁদে গোয়েন্দারা]
তবে অসংরক্ষিত টিকিট কাউন্টারগুলি ছ’মাসের উপর বন্ধ পড়ে রয়েছে। বুকিং ক্লার্করা এক প্রকার কর্মহীন। বসেই বেতন পাচ্ছেন। আগামী দিনে রেল কর্মী সংকোচনের যে নীতি নিয়েছে। তাতে বিপাকে পড়তে পারেন তাঁরা, এই আশঙ্কায় এখন দিন কাটাচ্ছেন বুকিংয়ের কর্মীরা। যদিও তেমন সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাজীব রঞ্জন। রাজীবের কথায়, “লোকাল ট্রেন চালু হলে ইউটিএস কাউন্টার খুলবে। কোনো ভাবে চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।” হাওড়া ডিভিশনে ১৫৩টি স্টেশনে হাজার খানেক বুকিং ক্লার্ক। শিয়ালদহে স্টেশন ২০৬টি, কর্মী পৌঁনে দু’হাজারের বেশি। এই কর্মীদের বসিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছে না রেলের ইউনিয়নও। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “চাকরি না গেলেও কর্মীদের অন্য বিভাগে সরিয়ে টিকিটিংয়ের পুরো ব্যবস্থাটাকে আইআরসিটিসির আওতায় তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।” এজন্য তাদের আন্দোলন চলছে বলে জানান।
[আরও পড়ুন ; চিনে মৃত্যু বেনিয়াপুকুরের ব্যবসায়ীর, অর্থের অভাবে দেহ ঘরে ফেরাতে পারছে না পরিবার]
The post উৎসবের মরশুমে সুখবর, চলতি সপ্তাহেই চালু শিয়ালদহ-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেন appeared first on Sangbad Pratidin.