সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় নাটকীয়ভাবে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানরা আদালত চত্বরে গ্রেপ্তার করেন পিটিআই প্রধানকে। তারপর থেকেই পাকিস্তান অগ্নিগর্ভ। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির ময়দানে ব্যাট করতে নামা ইমরানের সমর্থকদের প্রতিবাদে শাহবাজ শরিফের সরকার কার্যত কোণঠাসা। এহেন পরিস্থিতিতে পকিস্তানে যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তার দায় বিজেপি এবং আরএসএস-এর উপর চাপিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আটা তারার।
বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আটা তারার দাবি করেন, ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকে পকিস্তানে যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তার দায় বিজেপি এবং আরএসএসের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভারত থেকে লোক পাঠিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস। তারাই ধ্বংসাত্মক কাজ করছে এবং নানা জায়গায় অগ্নিসংযোগ করছে। পাকিস্তানে যে পরিস্থিতি্ তৈরি হয়েছে তাতে ভারতে উৎসব হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: গাজায় অগ্নিবৃষ্টি ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানের, নিহত তিন জেহাদি কমান্ডার-সহ ১৩]
ইমরানকে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, পেশোয়ারে। পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা নামানো হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। বুধবার রাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতে পিটিআই কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ইন্টারনেট বন্ধ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ। এদিকে, পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা পিটিআই-এর ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ১৪৪ ধারা জারি করে কিংবা সেনা নামিয়েও উত্তেজনা কমানো যাচ্ছে না। তার মধ্যে পাক ক্রিকেট মহলের বড় অংশ ‘কাপ্তান’-এর পাশে দাঁড়ানোয় আরও অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, গতকাল তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার ইমরানকে ইসলাবাদ পুলিশ লাইনে বিচারকের সামনে পাশ করা হয়। ইমরানকে আটদিনের হেফাজতে নিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। বলে রাখা ভাল, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী সরকারি ভান্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন ইমরান বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের (Pakistan) আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়। এর আগেও তোষাখানার সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে এ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধীরাও।