সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদা পুরসভা নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না শাসক শিবিরে। নির্দল পুরপ্রধান ও কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করার পরেই আড়াআড়ি দুভাগ হয়ে গিয়েছে যোগদান করা পাঁচ ও শাসক দলের প্রতীকে জেতা পাঁচ কাউন্সিলররা। বরং শাসক দলের প্রতীকে জেতা কাউন্সিলরদের সঙ্গী হয়েছেন কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরও। আর তাতেই জল্পনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার এই সাত কাউন্সিলর মিলে সরাসরি পুরপ্রধানকে চিঠি দিয়ে জানান, গত পাঁচ মাস ধরে সাধারন সভার বৈঠক হচ্ছে না। অবিলম্বে এই বৈঠক ডেকে নানান সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, অনেক কাজের বিষয়ে তারা অন্ধকারে থাকছেন। আর এই ঘটনায় নতুন করে অন্যরকম জল্পনা উসকে দিয়েছে এই পুরসভায়। পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অন্ধকারে রেখে কাজ হচ্ছে এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। সমস্ত বিষয় কাউন্সিলরদেরকে জানানো হয়। আমি পুরপ্রধানের চেয়ারে বসার পর একবার সাধারণ সভার বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক খুব শীঘ্রই হবে। তবে আমার দলের কাউন্সিলররা কেন এমন করছেন তা আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি দলকে জানিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, বাথরুমে উদ্ধার মহিলার নগ্ন দেহ, তুমুল চাঞ্চল্য কৈখালিতে]
পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে শাসক দলের প্রতীকে জেতা কাউন্সিলাররা যেভাবে কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। যোগদানের ঘটনার পরের দিনই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী পুরপ্রধান বৈঠক ডেকে তা বাতিল করলেও শাসক দলের প্রতীকে জেতা পাঁচ কাউন্সিলর ও কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর বৈঠক করেন। সেদিন থেকেই জল্পনা বেড়ে গিয়েছে এই পুরসভার। তবে মঙ্গলবার যেভাবে সাত কাউন্সিলর একজোট হয়ে পুরপ্রধানকে সাধারণ সভা ডাকার জন্য চিঠি দিলেন তাতে অন্যরকম ইঙ্গিত নয় তো ? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ঝালদা পুরসভার অন্দরে।
যদিও কংগ্রেসের কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল বলেন, “সাধারণ সভার বৈঠকে হচ্ছে না এর থেকে বোঝা যাচ্ছে পুরসভায় বেনিয়ম হচ্ছে। সেই কারণেই আমরা চিঠি করেছি।” অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা কাউন্সিলর, প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার বলেন, “সাধারণ বৈঠক গত পাঁচ মাসে ডাকা হয়নি। বৈঠক ডাকা হচ্ছে তাতে বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা দেওয়া হচ্ছে। সেই বিষয় ছাড়া আর অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা করা যাচ্ছে না। সামনে পুজো আসছে, নানান সমস্যার সমাধান হয়নি। সেই কারণেই আমরা সাধারণ সভার বৈঠক ডাকতে চিঠি দিয়েছি।”