সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে, একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে তবেই রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের পড়ুয়াদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সোমবার একথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের ‘রাজনৈতিক জয়’ বলে মনে করছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি তুললেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya)। সেইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে যাঁরা তাঁদের সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন, তাঁদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে বিঁধেছে এসএফআই।
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা ও জেলাগুলিতে স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। এর মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিশি ধরপাকড়, লাঠিচার্জের মতো অভিযোগে সরব হয় এসএফআই। আজও ফের একই ছবি দেখা যায় বিভিন্ন প্রান্তে। কলেজ স্ট্রিট থেকে বোলপুরে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস – দিকে দিকে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি দমনে পুলিশও বেশ সক্রিয় হয়।
[আরও পড়ুন: ‘এনাফ ইজ এনাফ’, রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এই অশান্তির মাঝেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, ৩ তারিখ থেকে রাজ্যে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে হবে ক্লাস। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক-সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিয়ম একই। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা চলবে ‘পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে’। প্রত্যেককে কঠোরভাবে মানতে হবে করোনা বিধি।
[আরও পড়ুন: পুরভোট পিছনো নিয়ে হাই কোর্টের পরামর্শ অমান্য কমিশনের, দায়ের আদালত অবমাননার মামলা]
এরপরই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের আন্দোলনের রাজনৈতিক জয় বলে দাবি করল এসএফআই। কলেজ স্ট্রিট চত্বরেই তাঁরা লাল আবির নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ”আমাদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের রাজনৈতিক জয়। স্কুল, কলেজে বন্ধ রেখে অনলাইন ক্লাসে জোর দিয়ে আসলে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আমরা অনলাইন নয়, ক্লাসের পড়াশোনায় বেশি জোর দিই।”