অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি যেন গোল্ড মাইন। সেই খনিতে প্রবেশ করেছে ইডি। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে হেফাজতে চেয়ে এমনই দাবি করেন ইডির আইনজীবী। তাঁর কথায়, শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের নিয়োগে ব্য়াপক দুর্নীতি হয়েছে। সওয়াল করার সময় মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এনে তদন্তকারীর আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্য দুর্নীতিতে এতটাই ডুবে রয়েছে যে একমাত্র কৃষ্ণ ভগবানই বাঁচাতে পারেন। অয়নকে জেরা করে সেই সমস্ত তথ্য সামনে আসছে। তাই এদিন ধৃত প্রোমোটারকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের আরজি মেনে অয়নকে ১৩ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল বিশেষ আদালত।
আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, অয়ন শীলকে জেরা করে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলের চ্যাট থেকে অয়নের হদিশ মিলেছিল। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত প্রোমোটারের। দুজনের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করতেন কুন্তল ঘোষ। একথা জানিয়েছেন খোদ অয়নই। তাঁর অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ২০১২, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিট উদ্ধারের পাশাপাশি পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিটও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৫ হাজার অবৈধ চাকরি দিয়েছেন অয়ন, দাবি ইডির।
[আরও পড়ুন: কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে CRPF মোতায়েন সম্ভব নয়, হাই কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]
আপাতত ৫০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের হদিশ পেয়েছে ইডি। এই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্য়ের বিভিন্ন বিভাগে দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে একমাত্র ভগবান কৃষ্ণই বাঁচাতে পারেন। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর অয়ন শীলকে ১৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।