বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সভাপতি ভোট মিটলেই অধীর চৌধুরীর ডানা ছাঁটার সম্ভবনা প্রবল। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে অধীরের ক্ষমতা খর্ব করতে পারেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীরা। সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রদেশ সভাপতি রেখে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে এআইসিসি (AICC) সূত্রে খবর। যদি কোনও কারণে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান অথবা ছিটকে যান তাহলে তাঁকে অধীরের (Adhir Ranjan Chowdhury) জায়গা দেওয়া হতে পারে। রাহুল গান্ধীর সংসদীয় রাজনীতির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এমন চিন্তভাবনা বলে জানিয়েছেন এআইসিসির গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
সভাপতি নির্বাচন থেকে গান্ধী পরিবার সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা হতেই প্রথম আসরে নামেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথাও বলেন। দু’জনের সম্মতি মিলতেই প্রস্তুতিও শুরু করেন থারুর। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর নিজের রাজ্য কেরল। মালয়ালি রাজ্যের প্রদেশ নেতারা রাহুল গান্ধীকে সভাপতি দাবি করে প্রস্তাব পাস করিয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই দলের প্রায় হাফ ডজন হেভিওয়েট নেতা সভাপতির দৌড়ে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত সভাপতির দৌড় থেকে থারুর নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন বলে জল্পনা। আবার লড়াইয়ে থাকলে তাঁর জয় নিয়েও সংশয় রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গরিব হতে পারি, ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হব না’, যৌনতায় রাজি না হওয়ায় খুন উত্তরাখণ্ডের তরুণী]
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কেরলের ওয়ানাড়ের সাংসদ। পরবর্তী লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্র থেকেই ফের দাঁড়াবেন। ফলে থারুর চটে যান এমন কোনও কাজ থেকে গান্ধী পরিবার বিরত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দলের অভ্যন্তরীণ ভোট নিয়ে জল ক্রমশ ঘোলা হতে শুরু করায় থারুরের জন্য বিকল্প পথের সন্ধানে সোনিয়া ও রাহুলরা। আকবর রোডে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তর সূত্রে খবর, থারুরকে (Shashi Tharoor) গুরুত্বপূর্ণ কোনও দায়িত্ব দিতে চাইছেন ‘ম্যাডাম’।
[আরও পড়ুন: ফের দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের কম, স্বস্তি মৃতের সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেসেও]
তাই সভাপতির পদে বসতে না পারলে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব তাঁর কাধে চাপানো হতে পারে। কারণ, অধীর চৌধুরী একাধারে প্রদেশ সভাপতি ও লোকসভার দলনেতা। তিনি কাজের চাপ কমাতে সোনিয়ার কাছে আগেই দরবার করেন। এদিকে, ভোটের বাকি দেড়বছর। অধীরের চাপ কমাতে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাংলায় সংগঠনে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে হাইকম্যান্ড। সেই জায়গা পেতে পারেন শশী থারুর।