সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ১৩ বছরের বিরতির পর রুপোলি পর্দায় ফিরছেন শিল্পা শেট্টি। অতঃপর স্পটলাইটের আলো যে ফের তাঁর দিকে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বলিপাড়ায় তিনি ‘ফিটনেস ফ্রিক’ নামেই পরিচিত। স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সচেতন তিনি। সম্প্রতি, ‘ওয়ার্ক আউট অ্যাপ’ও চালু করেন শিল্পা। তাঁর মতো ছিপছিপে চেহারার অধিকারিণী অনেকেই হতে চান। কিন্তু তাঁর জন্য কেউ যেন ‘স্লিমিং পিল’ সেবন না করেন। সম্প্রতি সেই বার্তাই দিলেন শিল্পা শেট্টি। ফিরিয়ে দিলেন এক আয়ু্র্বেদ কোম্পানির ১০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব।
[আরও পড়ুন: মঙ্গল অভিযান নিয়ে একতার নতুন ওয়েব সিরিজ, নজর কাড়ল ট্রেলার]
শুরু থেকেই শিল্পা ব্যতিক্রমী। এবার ১০ কোটির অফার ফিরিয়ে ফের প্রমাণ করলেন, কেন তিনি সাধারণের থেকে আলাদা। একটা ট্যাবলেটেই কমবে অনেকটা ওজন। অর্থাৎ, ‘স্লিমিং পিল’। শনিবার এই পিলের ১০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন ফেরালেন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি। তিনি সাফ জানান, “আমি নিজে যোগা বা এক্সারসাইজ করে ফিট থাকার কথা বলি। তাহলে সেই আমি কী করে স্লিমিং পিলের বিজ্ঞাপন করব? মানুষ হাসবে তো।” শিল্পা মনে করেন, স্লিমিং পিলের বিজ্ঞাপনে নিজের নাম লেখানো মোটেও বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়। কারণ এক, স্লিমিং পিলের কনসেপ্টে তিনি বিশ্বাস করেন না। এবং দুই, যেটা বিশ্বাস করেন না তাতে নাম লেখানো মানে নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু নষ্ট। উল্লেখ্য, ফিটনেস এবং নিউট্রিশন নিয়ে বইও লিখেছেন শিল্পা শেট্টি। সব ক্ষেত্রেই তিনি সফল। অ্যাপে তিনি সাধারণের ফিটনেস রেজিম নিয়েও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
[আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারার পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিলুপ্ত হোক ইসলামিক আইনও, মন্তব্য তসলিমার]
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে কথা বলতে বলতে কাঁদছেন বিদ্যা বালান। কতবার চেহারা নিয়ে বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে তাঁকে, সে কথাও তিনি খুলে বলেছিলেন সেই ভিডিওয়। শুধু বিদ্যাই নন। কোনও না কোনও সময় বডি শেমিং-এর স্বীকার হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার, অর্জুন কপূর, সোনাক্ষি সিনহার মতো অভিনেতারাও। শুধু যে ‘ওবেস’ বা স্থূলকায় ব্যক্তিরাই বডি শেমিং-এর স্বীকার হন এমনটা নয়। একটু নিয়ম মেনে চললেই যে সুস্থ থাকা যায়, দরকার হয় না কেমিকেল যুক্ত কোনও স্লিমিং পিলের, সে বার্তাই দিলেন শিল্পা শেট্টি।
The post ‘রোগা হওয়ার ট্যাবলেটে বিশ্বাসী নই’, ১০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন ফেরালেন শিল্পা শেট্টি appeared first on Sangbad Pratidin.