অর্ণব আইচ: কলকাতায় ফের শুটআউট (Shootout)। হাইল্যান্ড পার্কের কাছে পানশালায় বচসা হওয়ার পর নরেন্দ্রপুরের কামালগাজির কাছে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম পিন্টু বাগ। নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur PS) মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ তিনি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনের নামেও অভিযোগ করেছেন গড়িয়া, পাঁচপোতার বাসিন্দা পিণ্টু বাগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাবির মণ্ডল ওরফে বাপি নামে গ্রেপ্তার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
ঘটনা শনিবারের। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পিণ্টু বাগ গিয়েছিলেন হাইল্যান্ড পার্কে, তাঁর বন্ধু জিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা মেট্রোপলিস মলের এক পানশালায় (Bar) কিছুক্ষণ সময় কাটান। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আরেকটি পানশালায় ঢোকেন পিণ্টু-জিৎ। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে স্লট বুকিং নিয়ে দুই যুবকের বচসা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়। পিণ্টুর অভিযোগ, এরপর তিনি পানশালার নিচে এসে খেয়াল করেন, ওই দুই ব্যক্তি নিচে বসে রয়েছেন। তাঁকে দেখেই তাঁরা টেনে নিয়ে গিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নেন।
[আরও পড়ুন: মনুসংহিতা পোড়ানোর হুমকি, ‘ভারতমাতা’ সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
পিণ্টুর আরও অভিযোগ, তাঁর চোখ বেঁধে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সোনার চেন, ঘড়ি, মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়। এরপর কামালগাজির একটি ঠান্ডা পানীয়র কারখানার সামনে নিয়ে গিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি গুলি পিণ্টুর বাঁ হাতে লাগে। আঘাত সামলে কোনওক্রমে দুষ্কৃতীদের কবল থেকে ছুটে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। গভীর রাতে এসব ঘটনার পর তাঁকে পরদিন ভোরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: আরও ‘উষ্ণ’ পৌষ, এক রাতে ৩ ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা]
সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পিণ্টু সোজা মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে চলে যান নরেন্দ্রপুর থানায়। সঞ্জয় নামের এক ব্যক্তি ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে সাবির মণ্ডল নামে ৩৪ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে বাকিদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সঞ্জয় কে, ঠিক কী কারণে পিণ্টুকে গুলি করা হল, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।