সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধামাকা! আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসছে। এবারও বড় কাণ্ড ঘটবে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের (Hindenburg) ছোট্ট টুইটে হইচই ব্যবসায়ী মহলে। এবার কার কপাল পুড়বে? আশঙ্কায় গোটা বিশ্বের ব্যবসায়ীরা।
আসলে বৃহস্পতিবার সকালে হিন্ডেনবার্গের তরফে ছোট্ট একটি টুইট করা হয়েছে। যাতে লেখা, ‘আরও একটা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে। এটাও অনেক বড়।’ কার সম্পর্কে রিপোর্ট? কীসের রিপোর্ট? কবে প্রকাশ্যে আসবে? এবারেও কোনও দুর্নীতির খোলসা হবে কিনা? এই রিপোর্টের সঙ্গে ভারতের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা? মার্কিন সংস্থার ওই টুইটে কোনও কিছুরই উল্লেখ নেই। অথচ সেই ছোট্ট টুইটেই হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়।
[আরও পড়ুন: র্যাঙ্ক জাম্পিং, নম্বর বিকৃতি থেকে মনীষা অন্তর্ধান! বাম জমানায় তিন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তৃণমূলের]
অনেকেই ভাবতে বসে গিয়েছেন, এবার কার কপাল পুড়তে চলেছে? কারণ সম্প্রতি এই মার্কিন শর্টসেলারের রিপোর্টেই ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani) ভাগ্য কার্যত রাতারাতি বদলে দিয়েছে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানিরা শেয়ার বাজারে এতটা ধাক্কা খেয়েছে যে, ঐশ্বর্যের শিখর থেকে বিশ্বের সেরা ধনকুবেরদের তালিকায় প্রথম ৪০ জনের মধ্যেও নেই গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর আদানিদের মোট ক্ষতির হিসাব না পাওয়া গেলেও বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা যে স্রেফ উবে গিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: ‘SET পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিলাম, বাবা করিয়ে দেয়নি’, নিন্দুকদের জবাব দেবলীনা কুমারের]
এখানেই শেষ নয়, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে যে দুর্নীতির উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা এখন এদেশের রাজনীতিকেও পুরোদস্তুর প্রভাবিত করছে। আদানিদের নিয়ে মার্কিন সংস্থার এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করে চলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এই ইস্যুতে অচল সংসদও। বস্তুত আদানিদের নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট যে সার্বিকভাবে বিরাট প্রভাব ফেলেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই এবার ওই সংস্থা কাদের নিয়ে রিপোর্ট দেয়, সেটা দেখার প্রতীক্ষায় গোটা বিশ্ব।