সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। দ্বিতীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই তারাপীঠে রথযাত্রার সূচনা করেছেন তিনি। এবার তাঁর গন্তব্য ঝাড়গ্রাম। সেখানেও একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে নাড্ডার। তবে তার আগেই ঘটল বিপত্তি। অভিযোগ, লালগড়ে ঢোকার মুখে ঝিটকার জঙ্গল থেকে বিজেপি কর্মীদের বাস লক্ষ্য করে গুলি চলে। সভায় যেতে বাধা দেওয়ার জন্য গুলি চালানো হয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
ঝিটকার জঙ্গল এক সময়ে মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। তবে বর্তমানে সেই সমস্যা নেই। তা সত্ত্বেও ঝিটকার জঙ্গলের কাছেই গণ্ডগোল। অভিযোগ, নাড্ডার সভায় যোগ দিতে যাওয়া বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাস লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। কে বা কারা গুলি চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের যোগসাজশ রয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় যাতে দলীয় নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে না পারেন সে কারণেই গুলি চালানো হয় বলেও দাবি। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে আচমকা দিনেদুপুরে গুলি চলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে গুলি চলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল (TMC) যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অকারণে বিজেপি এসব কুৎসা রটাচ্ছে বলেই পালটা দাবি শাসকদলের।
[আরও পড়ুন: ‘হরে কৃ্ষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল আবার ঘরে ঘরে’, বিজেপির পালটা মমতার]
এর আগে নাড্ডার সফরকে কেন্দ্র করে গত বছরে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। সেবার অবশ্য খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলেই দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। পুলিশের (Police) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারপর নাড্ডার সফরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এবার গুলি চলার ঘটনায় টার্গেট নাড্ডা ছিলেন না ঠিকই। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সফরের মাত্র কিছুক্ষণ আগে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই।