shono
Advertisement

এলন মাস্কের কি টুইটার ছেড়ে দেওয়া উচিত? প্রকাশ্যে নেটিজেনদের ভোটের ফল

জনতার রায় মাথা পেতে নেবেন বলে জানিয়েছেন মাস্ক।
Posted: 05:19 PM Dec 19, 2022Updated: 09:30 PM Dec 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাঁটের কড়ি খরচ করে টুইটার (Twitter) কিনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক লোকসানের ছবি পালটাতে মাইক্রোব্লগিং সাইটের নিয়মে একাধিক বদলও এনেছিলেন। কিন্তু নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন টুইটার কর্তা এলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। এহেন পরিস্থিতিতে নিজের অধীনস্থ টুইটারেই খোলাখুলি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। জানতে চাইলেন, টুইটারের শীর্ষ পদে কি তাঁর থাকা উচিত? জনতার রায় মাথা পেতে নেবেন, সেই কথাও জানিয়েছেন মাস্ক।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোল করে মাস্কের প্রশ্ন, “টুইটার প্রধানের পদ থেকে কি আমার সরে দাঁড়ান উচিত? এই ফলাফল যা বলবে, আমি সেই রায় মাথা পেতে নেব।” এখানেই শেষ নয়। আরও একটি টুইট করে মাস্ক বলেছেন, “আগামী দিনে টুইটারের নিয়ম বদলাতে গেলে এইভাবেই পোল করা হবে।” তবে এই ঘোষণা করেই নেটিজেনদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন মাস্ক। তাঁর মতে, কিছু চাইলে খুব ভেবেচিন্তে চাওয়া উচিত। কারণ কিছু জিনিস চাইতেই ভাল লাগে, পেয়ে গেলে সেটা বেশ খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। তবে মাস্ক যাই বলুন, নেটিজেনদের ৫৭ শতাংশেরও বেশি চাইছেন মাস্ক যেন টুইটারের শীর্ষ পদ ছেড়ে দেন।  

[আরও পড়ুন: হ্যাক হয়েছে অ্যাকাউন্ট? নিমেষে সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে হাজির Instagram]

রবিবারেই টুইটারের তরফে ঘোষণা করা হয়, যেসমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার করা হবে সেই অ্যাকাউণ্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। টুইটার সাপোর্টের তরফে আরও জানানো হয়, “আমরা জানি টুইটারের অনেক ইউজারই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকেন। কিন্তু টুইটারকে ব্যবহার করে অন্য প্ল্যাটফর্মগুলির প্রচার করা যাবে না। এই ধরনের প্রচারমূলক টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে একই কন্টেন্ট নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে কোনও অসুবিধা নেই।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই একঝাঁক সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তাঁর মতে, বিশ্বের নানা প্রান্তে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা। তবে তুমুল সমালোচনার পরে ওই অ্যাকাউন্টগুলি আবার চালু করে দেওয়া হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: এবার টুইটারে নিষিদ্ধ ভারতীয় সাইট Koo! ক্ষোভ উগরে দিলেন সংস্থার সহ-কর্ণধার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement