দিপালী সেন: ছাত্র মৃত্যুর জের। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুল। গেটে নোটিস দিয়ে স্কুল বন্ধের কথা জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
সোমবার বিকেলে কসবার বেসরকারি স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির পড়ুয়ার। অভিযোগ, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় ওই ছাত্রকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল স্কুলের তরফে। টিসি দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপরই ৫ তলার ছাদ থেকে আছড়ে পড়ে পড়ুয়ার দেহ। অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ছেলেটির বায়োলজি প্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। এখানেই শেষ নয়। কয়েকজন শিক্ষিকার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, প্রজেক্ট নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিল মৃত ছাত্র। তাকে ওই শিক্ষিকা বলেন, এর জন্য শাস্তি পেতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘যা প্রতিবাদ করার রাজভবনের ভিতরে করুন’, ধরনা হুঁশিয়ারির পর মমতাকে পালটা রাজ্যপালের]
ওই শিক্ষিকাই নাকি ছাত্রকে নির্দেশ দেন, টিচার্স রুমের পাশে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেই নির্দেশ মেনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল সে। ওই সময় বেশ কয়েকজন ছাত্র ও ছাত্রী তার সামনে দিয়ে যাতায়াত করে। পুলিশের ধারণা, এর ফলে অপমানিত বোধ করে ছাত্রটি। সব মিলিয়ে ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে স্কুলের ভূমিকা রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পরিবারেরও অভিযোগ, স্কুলের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যার জেরে ইতিমধ্যেই কয়েকদফায় স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এবার ছাত্রমৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ করে দেওয়া হল সিলভার পয়েন্ট স্কুল। এদিন সকালে স্কুলের গেটে দেখা গেল নোটিস। সেখানে ছাত্রমৃত্যুর শোকপ্রকাশের পাশাপাশি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তদন্তে সহযোগিতার জন্য আপাতত বন্ধ থাকবে স্কুল। কতদিনে স্কুল খুলতে পারে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য মেলেনি নোটিসে।