সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ-এক ভোটের প্রস্তাব সংবিধান বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী নয়। জোরাল দাবি করলেন এক দেশ-এক ভোট সংক্রান্ত কমিটির প্রধান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। তাঁর বক্তব্য, সংবিধান প্রণেতারাই চাইছিলেন একই সময়ে দেশের সব রাজ্যে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট হোক।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রস্তাব। সব ঠিক থাকলে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হবে এক দেশ-এক নির্বাচন বিল। এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে যে কমিটি গড়েছে মোদি সরকার, সেই কমিটির সুপারিশ বলছে, এক দেশ-এক নির্বাচন কার্যকর করতে হলে বেশ কয়েকটি সংবিধান সংশোধনী আনতে হবে। সংবিধানের ৩৬৮(২) ধারা অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনীর জন্য সংসদের দুই কক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়।
কমিটির প্রধান কোভিন্দ এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছেন, ‘এক দেশ, এক ভোটে’র প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে যে ধরনের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে সেটি খতিয়ে দেখার কাজটি করবে বাস্তবায়ন কমিটি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংসদকেই নিতে হবে। তবে এতে সাংবিধানিক কোনও বাধা নেই। এমনকী এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটাও খারিজ করেছেন কোভিন্দ।
তিনি বলছেন, ভারতে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লোকসভা ও বিধানসভার ভোটগুলি একসঙ্গেই হয়েছিল। এখন সেই পদ্ধতিতে ফিরে গেলে কোনওভাবেই সেটা সংবিধান বিরোধী নয়। সরকারের তিন স্তরে একসঙ্গে ভোট হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হবে না, আরও শক্তিশালী হবে। কারণ, সরকারের সবক’টি স্তর পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। উল্লেখ্য, কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি মোট ৪৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে এক দেশ-এক নির্বাচন সম্পর্কে নিজেদের মতামত দিয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি দল এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছে। আর ১৫টি রাজনৈতিক দল এর বিপক্ষে মত দিয়েছে।