সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষষ্ঠেন্দ্রিয় (Sixth Sense)। অর্থাৎ চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক মানে আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয় ব্যতিরেকে যে ইন্দ্রিয়ের কথা মানুষ কল্পনা করে এসেছে। কিন্তু যার কোনও অস্তিত্ব কখনও প্রমাণ করা যায়নি। তবু বার বারই মানুষের চেতনায় ‘ম্যাজিক’ দেখিয়েছে এই ইন্দ্রিয়! সোজা কথায় বহু সময় শারীরিক বা মানসিক অনুভবের মাধ্যমে অনেক কিছুর আঁচ মেলে। মনে করা হয় এটাই ষষ্ঠেন্দ্রিয়র কারসাজি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এল এই ইন্দ্রিয়র কথা।
৯৩টি সমীক্ষাকে একত্রে একটি নতুন সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, মহিলারা নাকি নিজের হৃদস্পন্দন অনুভব করায় পুরুষদের থেকে পিছিয়ে। এই পার্থক্যই মহিলাদের কিছু মানসিক সমস্যার সামনে এনে ফেলে, পুরুষদের তুলনায়।
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
বলা হচ্ছে, কেবল হৃদস্পন্দনই নয়, নিজের ফুসফুসের সংকেত চেনা বা কিডনির ভাষা বোঝার ক্ষেত্রেও পুরুষদের থেকে পিছিয়েই মহিলারা। আর এই সব কারণেই মহিলারা বেশি অবসাদ ও বিষাদে ভোগেন। আসলে আমাদের মস্তিষ্ক বাইরের জগৎকে উপলব্ধি করতে এবং সে বিষয়ে সচেতন হতেই সাহায্য করে। যে কারণে দৃষ্টি, শ্রবণ এবং স্পর্শের মতো অনুভবকে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু যেখানে তারা পৌঁছতে পারে না সেখানেই রয়েছে ষষ্ঠেন্দ্রিয়র ‘ম্যাজিক’। অর্থাৎ নিজের শরীরের ভিতরে কী ঘটছে তা বুঝে উঠতে পারা।
কিন্তু কেন মহিলারা এক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন? মনে করা হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে শারীরবিদ্যা, হরমোন অথবা নিজেদের শরীর নিয়ে পুরুষ ও মহিলারা কে কী ভাবছে এই ধরনের কিছু ফ্যাক্টর। যা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারলে ভবিষ্যতে মানসিক অসুখের ক্ষেত্রে নয়া দিশার সন্ধান মিলতে পারে।