সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের নামী রেস্তরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন মা-মেয়ে। খেতে বসে চক্ষু চড়কগাছ। খাবারের সঙ্গে মিশে রয়েছে সাপের খোলস (Snake skin)। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশকে অভিযোগ করেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় রেস্তরাঁটি। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (Kerala) তিরুবন্তপুরম এলাকায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কেরলের তিরুবন্তপুরমের এক শহরের বাসিন্দা প্রিয়া স্থানীয় রেস্তরাঁ থেকে দু’টি পরোটা অর্ডার করেন। বাড়িতে খাবার আসার পর প্রথমে তাঁর মেয়েকে খেতে দেন প্রিয়া। খাওয়া শেষ হলে খেতে বসেন প্রিয়া। পরোটাটি যে কাগজ দিয়ে মোড়ানো ছিল, তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, সেই কাগজের মধ্যে আধ আঙুল লম্বা সাপের খোলস। যার কিছুটা অংশ পরোটায়ও লেগে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ভোটের বাদ্যি! আগামী মাসেই GTA নির্বাচন করাতে চাইছে রাজ্য]
এর পরই প্রিয়া পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশের তরফে বিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের নজরে আনতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেয়। তাদের আধিকারিক পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রেস্তরাঁটি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলছিল রান্না। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক আরশিথা বসির প্রাথমিক তদন্তের পর নিশ্চিত করেছেন, পরোটা মুড়ে রাখার কাগজেই ছিল সাপের খোলস। খাবারও সেই খোলসের সংস্পর্শে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, রেস্তরাঁর রান্নাঘরে যথাযথ আলো নেই। বাইরে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা রয়েছে। অপরিচ্ছন্ন জায়গায় চলে রান্না। এসব দেখার পরই রেস্তরাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। শোকজ নোটিসও ধরানো হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।