সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির মতো এমন মগ্ন নিপুণ শিল্পী আর কে আছে? এ কথা নতুন করে বিস্মিত করে তুলবে এই পেঁচাটিকে দেখলে। পোশাকি নাম ‘স্নোয়ি আউল’ (Snowy Owl)। নেহাতই বিরল এই পাখির শরীরে প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যের ভাণ্ডার উপুড় করে দিয়েছে। সাদা শরীরে ফুটে ওঠা কালো নকশায় একবার তাকালে চোখ ফেরানো দায়। কিন্তু তাকে চোখে দেখার সুযোগ আর মেলে কই? নিউইয়র্কের (New York) সেন্ট্রাল পার্কে সম্প্রতি দেখা মিলেছে তার। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনের দাবি, শেষবার এখানে তাকে দেখা গিয়েছিল ১৮৯০ সালে! অর্থাৎ ১৩০ বছর আগে।
গত বুধবার সকালে আচমকাই পক্ষীপ্রেমীরা চমকে ওঠেন এই বিরল প্রজাতির পেঁচাটিকে দেখে। ‘আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি’র কালেকশন ম্যানেজার পল সুইট এক টুইটে বিরলদর্শন পাখিটির কথা সকলকে জানান। তাঁর টুইট থেকে জানা গিয়েছে, শেষবার ১৮৯০ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এলএস ফস্টার নামের এক ব্যক্তি নিউইয়র্কে ওই প্রজাতির পেঁচাটিকে (Owl) দেখেছিলেন। তারপর থেকে এর দর্শন পাওয়ার আর কোনও রেকর্ড নেই।
[আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণীরাই জঙ্গলের রক্ষক, মাটির মডেল তৈরি করে বোঝাল শিশুরা, উদ্যোক্তা ‘শের’]
স্বাভাবিকভাবেই সকলে উত্তেজিত এমন বিরল এক পাখিকে দেখতে পেয়ে। ইন্টারনেটে দ্রুত ‘সেলিব্রিটি’ হয়ে উঠেছে ‘স্নোয়ি আউল’। তার ছবি ও ভিডিও অনেকেই শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে পার্কের সাধারণ পাখিদের সঙ্গে মিশে এদিক-ওদিক ঘুরে দেখছে সে। তাকে দেখতে ভিড় জমে যায় পার্কে। তাঁদের অনেকেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে।
এই প্রজাতির পেঁচা মূলত তুন্দ্রা অঞ্চলের বাসিন্দা। শীতকালে সাধারণত এরা দক্ষিণে আসে। তবে দূরবর্তী দ্বীপ কিংবা সমুদ্র সৈকতে তাকে দেখা গেলেও নিউইয়র্কের মতো ব্যস্ত শহরে তার দেখা মেলাই ভার। পার্ক কর্তৃপক্ষ উৎসাহী দর্শকদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়েছেন, পাখিটিকে দেখতে পেলে তার খুব কাছে না যেতে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘স্নোয়ি আউল’ একান্তবাসী, একা একা থাকতে ভালবাসে। কাছে এলে সেটি উড়েও যেতে পারে। তাই দূর থেকে বাইনোকুলার দিয়ে তাকে দেখাই ভাল। এবং অবশ্যই শব্দ না করে। সেই সঙ্গে ক্যামেরার ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি যেন ওর চোখে না লাগে সেই অনুরোধও করা হয়েছে।