সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) ‘সার্বভৌমত্ব’ মন্তব্য ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক বিতণ্ডা। বক্তেব্যের প্রতিবাদে কংগ্রেস (Congress) নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে (Election Commission of India) চিঠি লিখেছিল বিজেপি (BJP)। যার পর নেত্রী এবং দলকে জবাবদিহি করতে বলেছিল কমিশন। তার উত্তরে কংগ্রেসের সাফাই, কর্ণাটকের জনসভায় নিজের ভাষণে ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটিকে ব্যবহারই করেননি সোনিয়া। যদিও সেই সময় সোনিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করা টুইটটি ডিলিট করেছে কংগ্রেস।
গত ৬ মে দলের হয়ে কর্ণাটকের হুব্বালিতে জনসভা করেন সোনিয়া। সেখানে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করল কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়েছে, সেদিনের বক্তব্যে ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটি ছিল না। সাফাই-টুইটের সঙ্গে সোনিয়ার সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যদিও ৬ মে সোনিয়ার সমর্থনে দল টুইট করেছিল, “কাউকেই কর্ণাটকের সুনাম, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা নষ্ট করতে দেবে না কংগ্রেস।” কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর এই টুইট ডিলিট করেছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: এক্সিট পোলে এগিয়ে কংগ্রেস, কর্ণাটকের ফল নিয়ে কী বলছে দেশের সেরা সাট্টা বাজারগুলি?]
উল্লেখ্য, ‘সার্বভৌমত্ব’ মন্তব্যকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণের রাজ্যের ভোটপ্রচারে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তিনি দাবি করেন, ভারত রাষ্ট্র থেকে কর্ণাটককে আলাদা করতে চাইছে কংগ্রেস। একই বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য ছিল, “কর্ণাটকের জাতীয়তাবাদী, শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত জনগণকে উসকে দিতে এমন টুইট করা হয়েছে। কর্ণাটকে সাম্য, সম্প্রীতি এবং শান্তি নষ্ট করে নির্বাচিত সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর ভোট আদায়ের জন্য এই মন্তব্য করা হয়েছে। এদের লক্ষ্য হল ভারত রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে ব্যাহত করা।”