ভারত: ২১১/৪ (ইশান কিষান-৭৬, হার্দিক-৩১*)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১২/৩ (ডুসেন-৭৫*, মিলার-৬৪*)
৭ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানের পাহাড় গড়েও জিততে পারল না ভারত। ক্যাচ ফেলার মাশুল গুনতে হল রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেদের। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নিল প্রোটিয়ারা। আর তার ফলে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জঘন্য বোলিং করলেন ভারতীয় বোলাররা। যথেচ্ছ মার খেলেন তাঁরা। প্রোটিয়া ব্যাটারদের চাপে ফেলেও রাশ আলগা হয়ে গেল ভুবনেশ্বর কুমারদের হাত থেকে। ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আইপিএলে (IPL) ঠিক যে জায়গায় শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ভারত ২০ ওভারে তোলে ২১১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সেই সঙ্গে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামেও এটাই সর্বোচ্চ রান। কিন্তু তখন আর কে জানত, এই রানও খুব সফলভাবে তাড়া করে ম্যাচই জিতে নেবে প্রোটিয়ারা।
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী নয়, বস্ত্রহরণ হয়েছিল সীতার! বিজেপির নিন্দা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য রণদীপ সুরযেওয়ালার]
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই ভারতীয় শিবিরে বড় আঘাত আসে। ছিটকে যান লোকেশ রাহুল ও কুলদীপ যাদব। বিশ্রামে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহম্মদ শামির মতো তারকারা। এই অবস্থায় প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে যে দল নেমেছিল ভারতের, তা একদমই তারুণ্যে ভরপুর। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিষান ওপেন করেন। দু’ জনে ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান করেন। রুতুরাজ ব্যক্তিগত ২৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ভারতের রান তখন ৫৭। রুতুরাজ ফিরে গেলেও ইশান কিষানকে থামিয়ে রাখা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের উপরে নির্দয় ছিলেন তিনি। ইশান কিষান ও শ্রেয়স আইয়ার ৮০ রান জোড়েন। ইশান কিষান ৭৬ রানে আউট হন। ১১টি বাইন্ডারি ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। যেভাবে এগোচ্ছিলেন ইশান কিষান তাতে সেঞ্চুরি পেতেই পারতেন।
ইশান কিষান (Ishan KIshan) আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান শ্রেয়স (৩৬)। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও গুজরাট টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করা হার্দিক পাণ্ডিয়া ভারতকে পৌঁছে দেন রানের শিখরে। পাণ্ডিয়া মাত্র ১২ বলে ৩১ রান করেন। ২টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান পাণ্ডিয়া। পন্থ আউট হন ২৯ রানে।
ভারতের বিশাল ২১১ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেট যায় ২২ রানে। বাভুমা ব্যক্তিগত ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রিটোরিয়াস ফেরেন ২৯ রানে। কুইন্টন ডি’ কক (২২) যখন ফেরেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৮১। এই জায়গা থেকে ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। ভ্যান ডার ডুসেনকে ২৯ রানে ফেলেন শ্রেয়স আইয়ার। তার পরে ডুসেন ও মিলার ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। তাঁদের আর থামিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। শেষের দিকে আস্কিং রেট বাড়ছিল। বলের থেকে রান সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু তাতেও দমে যাননি ডুসেন ও মিলার। প্রায় হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ জেতার মরিয়া চেষ্টা করেন দুই ব্যাটসম্যান। অসাধ্যসাধনও করে ফেলেন। বিশেষ করে ডুসেনকে ফেলার মাশুল দিতে হল ভারতকে। তিনি নির্দয় হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত ডুসেন ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। মিলার ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।