সুব্রত বিশ্বাস: তৃণমূলের ডাকা ‘জনগর্জন সভা’য় সমর্থকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ভাড়ায় ট্রেন চেয়েও তা পায়নি দল। অথচ বুধবার মোদির একাধিক কর্মসূচিতে যাতে সহজেই সমর্থকরা আসতে পারেন, সেজন্য দু’জোড়া লোকাল চালিয়ে দিল রেল।
উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুরের সঙ্গে সংযোগকারী এই ট্রেন দুটি চললো দিঘা-বারাসত ও পাঁশকুড়া-বারাসতের মধ্যে। অবশ্য ট্রেন দু’টিকে বরাবরের জন্য চালু রাখার জন্য নানা সূত্রে আর্জি জানিয়েছেন যাত্রীরা। যদিও পরিচালনার একাধিক সমস্যার জন্য রেল সেই আর্জি খারিজ করেছে। এদিন বারাসত থেকে ট্রেনটি ভোর সওয়া পাঁচটায় ছেড়ে দিঘা পৌঁছায় বেলা সাড়ে এগারোটার সময়। ফের দিঘা থেকে দুপুর দেড়টার সময় ট্রেনটি ছেড়ে বারাসত পৌঁছয় সন্ধ্যে ৭.৪০ মিনিটে।
[আরও পড়ুন: জিম করবেট অভয়ারণ্যের গভীরে নিষিদ্ধ টাইগার সাফারি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
পাশাপাশি বারাসত-পাঁশকুড়ার মাঝে আরও একটি ইএমইউ পরিষেবা চালানো হয় এদিন। পাঁশকুড়ার থেকে ট্রেনটি সকাল ৪.২০ মিনিটে ছেড়ে বারাসত পৌছায় সকাল সাড়ে আটটার সময়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ছেড়ে পাশকুড়া পৌঁছোয় রাত দশটার সময়। ট্রেন দুটি দমদম-ডানকুনি-সাঁতরাগাছি হয়ে চলানো হয়। ফলে শিয়ালদহের বনগাঁ, নৈহাটি, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, হাওড়া মেন শাখা ও বর্ধমান কর্ড শাখার যাত্রীরা প্রতিটা কর্মসূচি স্থলে যাতে সহজেই পৌঁছোতে পারেন, সেজন্য এই পরিষেবা। ট্রেন দুটি পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলকে এক সূত্রে এদিন গেঁথে চালানো হয়।
লক্ষ ছিল, বেশি করে সমর্থক টানা। তবে লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনগুলিতে অফ রুটে তেমন ভিড় হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্ধারিত ভিড়ের রুটে সাধারণ যাত্রীরা চড়েছেন নিজেদের কর্মস্থলে পৌঁছতে। তৃণমূল ভাড়ায় ট্রেন চেয়েও পায়নি। অথচ কোনওরকম আবেদন ছাড়া চারটি লোকাল অফরুটে চালানোর কারণ সম্পর্কে কোনও রেলকর্তাই মুখ খুলতে চাননি।