সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এবার মোহনবাগান ক্লাবকে নিয়ে করা তাঁর একটি টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি এক ব্যক্তির টুইটের জবাব দিতে গিয়ে বাবুল অভিযোগ তোলেন, শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাব নাকি তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা পরিচালিত এবং ক্লাব বর্ষীয়ান কিংবদন্তী ফুটবলারদের কোনও মর্যাদাই দেওয়া হচ্ছে না। যদিও তাঁর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মোহনবাগানের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস।
[পাওলি এবার ছোটপর্দার ‘মির্চ মালিনী’]
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলা নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। এর মধ্যেই বসিরহাটে প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলেন বাবুল। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি টুইটও করেন। সেখানেই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করে লেখেন, ‘মোহনবাগানের আপনাকে প্রয়োজন, অথচ মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আপনি চুপ রয়েছেন। এটা দেখেই খারাপ লাগছে।’ জবাবে বাবুল টুইট করেন, ‘মোহনবাগান এখন তৃণমূলের দ্বারা পরিচালিত। এমনকী কিংবদন্তি ফুটবলাররাও সেখানে যেতে পারেন না। তোমরা এই বিষয়টি নিয়ে কী করেছ?’ এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। অনেকেই পালটা জবাব দিয়ে টুইট করেন।
তারপরই একজন লেখেন, ‘দুই প্রধানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি একদিনও সংসদে কিছু বলেছেন? এআইএফএফ ও আইএমজিআর যখন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগে খেলতে বাধ্য করল, তখন কেন্দ্রের মন্ত্রী হিসেবে আপনি কি করেছেন? শিল্পী হিসেবে বাংলার মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু দয়া করে মোহনবাগানকে রাজনীতির মধ্যে টানবেন না। বরং আপনি বা আপনার দল আইএসএলে খেলার ব্যাপারে কোনও সাহায্য করলে খুশি হব।’ এরপরই পালটা টুইট করে বাবুল বলেন, ‘এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে, যা তোমরা জান না। তোমরা সেগুলি জানলে খুশি হতাম। এখানেই এটা থেমে যাওয়া উচিত। আর মোহনবাগানের প্রতি আমার ভালবাসা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলো না। ‘
কিন্তু কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এধরনের টুইট করলেন, বুঝতে পারছেন না বাগান কর্তারাও। মোহনবাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস জানান, ‘মোহনবাগান এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি কিংবা কংগ্রেস বলে কিছু নেই। আমি বুঝতে পারলাম না কেন তিনি এই মন্তব্য করলেন। ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলারদের সম্পর্কে তাঁর যদি কোনও প্রশ্ন থেকেই থাকে, তাহলে ওনার উচিত ছিল আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘এমনকী কয়েকদিন আগেও বিমানে বাবুলের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। উনি তখনও আমাকে কিছু জানান নি। সবুজ-মেরুন ছাড়া মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে আর কোনও রঙই গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
এই প্রসঙ্গে অপর এক বাগান কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য। ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠন করা হয়েছে অ্যাডভাইসরি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা দলকে সবসময় সাহায্য করে এসেছে। প্রত্যেক বছর ক্লাবের কিংবদন্তিদের মধ্যে থেকে একজনকে আমরা মোহনবাগান রত্ন প্রদান করে থাকি। তাই কেন তিনি এই অভিযোগ তুললেন বুঝতে পারলাম না।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘স্বপনসাধন বোস কিংবা সৃঞ্জয় বোস কেউ এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাই ক্লাবের সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো কখনওই কাম্য নয়। ক্লাবের উন্নতিতে রাজ্য সরকার যেভাবে সাহায্য করে এসেছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব। কেন্দ্রও যদি এরকম ভাবেই ক্লাবের সাহায্যে এগিয়ে আসে তাহলে তাঁদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’
[শাস্ত্রীর পছন্দেই সিলমোহর, ভরত অরুণই বোলিং কোচ]
The post মোহনবাগান সম্পর্কে বিতর্কিত টুইট বাবুলের, প্রতিবাদে মুখর সমর্থকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
