মোহনবাগান: ৩ (লিংডো, কামো, শিল্টন)
রেলওয়ে এফসি: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবুজ-মেরুনের জার্সি গায়ে চাপানোর পর থেকেই গোলের খিদেটা বেড়ে গিয়েছিল। সাদার্নের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু গোল আসেনি। তাই বেশ ছটফট করছিলেন। রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধেই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল কামো স্তেফানের। কলকাতা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাগানের হয়ে খাতা খুললেন আইভরি কোস্টের এই স্ট্রাইকার। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের গতিময় ফুটবল দিয়ে রেলকে বেলাইন করে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল।
ম্যাচ শুরুর আগে মোহনবাগান শিবিরে একটা প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল। ক্রোমা কি প্রথম একাদশে থাকছেন? চোটের কারণেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়েছিলেন। তাই তাঁকে ঘিরে ভক্তদের প্রত্যাশার পারদও চড়তে শুরু করেছিল। সব ধোঁয়াশা উড়িয়ে শুক্রবার ঘরের মাঠে নামলেন ক্রোমা। যদিও এদিন গোল অধরাই রয়ে গেল।
[বিশ্বমঞ্চে হাফডজন পদক জিতেও দেশে হেনস্তার শিকার খর্বকায় অ্যাথলিট]
সাদার্ন ও রেলের বিরুদ্ধে বাগানের খেলা দেখলে অনেকখানি সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে। দুই ম্যাচেই প্রথমার্ধে কোনও গোল আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধে গতি বাড়িয়ে, উইং সচল করেই এল জয়। দুটি ম্যাচের স্কোর লাইনও এক। তবে শঙ্করলালের সবচেয়ে স্বস্তির কারণ হল একটিও গোল হজম না করা। গত ম্যাচে টালিগঞ্জের কাছে পরাস্ত হয়েছিল রেল। তা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে নারাজ ছিলেন তিনি। ধারে ও ভারে পিছিয়ে থাকা রেলের বিরুদ্ধে তাই কোনওরকম ভুল করতে চাননি তিনি। আর বাগান রক্ষণে যে রেল দাঁত ফোটাতে পারেনি, তাতেই স্বস্তি তাঁর।
[টালিগঞ্জের নড়বড়ে রক্ষণকে উড়িয়ে বড়সড় জয় মহামেডানের]
কে-থ্রি অর্থাৎ কামো, ক্রোমা ও কিংসলেকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন শংকরলাল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হলেও গোটা ম্যাচ জুড়ে বল পজেশনে এগিয়ে ছিল বাগানই। দ্বিতীয়ার্ধে সেন্টার মিডিওর লব থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিংডো। তারপরই বাগানের হয়ে ব্যক্তিগত প্রথম গোলটি করে সমর্থকদের মন জয় করে নেন কামো। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে টলমল রেলকে সম্পূর্ণ বেলাইন করে দেন শিল্টন ডি সিলভা। গত ম্যাচের শেষ গোলটিও এসেছিল তাঁর পা থেকেই। চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে চলেছে মোহনবাগান। ঘরোয়া লিগ জিততে যে এবার মরিয়া তারাও, সেটাই যেন বুঝিয়েই দিচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
The post রেলকে বেলাইন করে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.