সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। পারল না তাঁর দলও। ইউরো কাপের (Euro 2020) প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের (Belgium) কাছে ০-১ গোলে হেরেই বিদায় নিতে হল গতবারের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে (Portugal)। তবে শুধু ম্যাচে হার নয়, খেলা শেষের পর চরম বিতর্কেও জড়ালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ফের একবার রাগের মাথায় ছুঁড়ে ফেললেন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। শুধু তাই নয়, ম্যাচ শেষে টানেলে ফেরার পথে লাথিও মারলেন তাতে। আর সেই মুহূর্তের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সিআর সেভেনের সমালোচনায় মুখর ফুটবলভক্তরা।
৩৬ বছর বয়সে এসেও চলতি ইউরোর প্রথম ম্যাচ থেকেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গ্রুপ অব ডেথ থেকে নকআউটেও পৌঁছে যায় ফের্নান্দো স্যান্টোসের ছেলেরা। ইতিমধ্যে একডজনের বেশি রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন সিআর সেভেন। কিন্তু বেলজিয়ামের বিরুদ্ধেই পদস্থালন। ৪২ মিনিটে থোরগ্যান হ্যাজার্ডের গোলেই স্বপ্নভঙ্গ হল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের। আর ম্যাচ শেষেই দেখা গেল চরম বিতর্কিত সেই মুহূর্তের।
[আরও পড়ুন: Euro 2020: ১০ জনের নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্র]
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একের পর এক ছবি বা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ম্যাচের পরই রাগে হোক বা দুঃখে অধিনায়কের আর্মব্যান্ডটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলছেন রোনাল্ডো। আবার টানেলে ঢোকার মুখে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলার পর তাতে লাথিও মারেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গে থাকা এক আধিকারিক সেটি কুড়িয়ে নেন। কিন্তু মুহূর্তে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই এজন্য ক্রিশ্চিয়ানোর সমালোচনায় মুখর হন। একজন কিংবদন্তি হয়ে ফুটবল খেলাকে সম্মান করা উচিত রোনাল্ডোর। এমনই মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা। কেউ আবার লেখেন, এ তো আর নতুন কিছু নয়। আরেকজন লেখেন, “গত তিনমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একই কাণ্ড ঘটালেন, এরপরও লোকে তাঁকে GOAT (সর্বকালের সেরা) বলে ডাকবে।” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে গত মার্চেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সিআর সেভেন। তাঁর গোল বাতিল করে দিয়েছিলেন রেফারি। আর রাগে সেই ম্যাচেও আর্মব্যান্ড ছুঁড়ে ফেলেছিলেন।