দুলাল দে: একদা অস্ট্রেলিয়ান পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রার (Glenn McGrath) সহকারী সতীশ কুমার, এই মুহূর্তে ক্রিকেট ছেড়ে ফুটবলের দায়িত্বে!
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ফেরার জন্য যে মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রঞ্জি দলের হয়ে ঘাম ঝড়াচ্ছিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা সুরেশ রায়না, সেই সময়েও সুরেশ রায়নার লড়াইয়ের সঙ্গী একমাত্র সতীশ কুমার (Satish Kumar)। সরকারি ভাবে ইউপির স্ট্রেংথ এবং ফিটনেস ট্রেনার হলেও, সেই লড়াইয়ের দিনগুলিতে সতীশ ছিলেন রায়নার ব্যক্তিগত ট্রেনারও। সেই সতীশ এখন ফেডারেশনের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজের (Indian Arrows) ফুটবলারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের দায়িত্বে।
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর দেহরক্ষী যমজ আফগান ভাই, যুদ্ধ করেছেন আফগানিস্তানের হয়েও]
ঠিক ছিল জাতীয় দলের হয়ে ফুটবলটাই খেলবেন। এগোচ্ছিলেনও ঠিক পথে। অরিন্দম, শিল্টন পালদের সঙ্গে একই বছরে ছিলেন টিএফএর ফুটবলার। কলকাতায় জর্জ টেলিগ্রাফের পাশাপাশি খেলে গিয়েছেন মহামেডানেও। পরে স্পোর্টিং দ্য গোয়ার পাশাপাশি পুণে এফসিতেও। আর সেখানে সহ ফুটবলার হিসেবে পান অ্যারোজের কোচ ভেঙ্কটেশকে।
কিন্তু চোটের কারণে খেলা ছাড়তে বাধ্য হওয়ায়, চলে যান অস্ট্রেলিয়া। ফিটনেস ট্রেনিং নিয়ে পড়াশোনা করতে। ফিরেই যোগ দিলেন ম্যাকগ্রার সহকারী হিসেবে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে। যোগ দেওয়ার আগে ম্যাকগ্রা নিয়ে ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সতীশের। তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল। ছিলেন ফুটবলার। হয়ে গেলেন ক্রিকেটারদের শক্তি বাড়ানোর কোচ! সেখান থেকেই ডাক পড়ল ইউপির রঞ্জি দলে। যাদের সঙ্গে এখনও চুক্তি রয়েছে। ২০১৭-তে সেই সময়েই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ফেরার লড়াই চালাচ্ছেন সুরেশ রায়না। সতীশের ট্রেনিং পছন্দ হয়ে যাওয়ায়, ব্যস তাঁকে নিয়ে পড়ে গেলেন রায়না। ফের ফিরলেন জাতীয় দলে।
একদা পুণেতে একসঙ্গে খেলা সতীশের কথা হঠাৎই জানতে পারেন, অ্যারোজের কোচ ভেঙ্কটেশ। ফোন করে একদা সতীর্থকে অনুরোধ করলেন, অ্যারোজের ফুটবলারদের ট্রেনিং করানোর জন্য।
মারাত্মক ব্যস্ততা। তারমধ্যেও সময় করে তিন সপ্তাহর সময় দিয়েছেন জুনিয়র জাতীয় ফুটবলারদের। বলছিলেন, “মাঠের ভেতর ফুটবলারদের ফিটনেস লাগে ৭৫ শতাংশ, টেকনিক ২৫ শতাংশ। আর ক্রিকেটে ঠিক উল্টো। তবে ফুটবলারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সঙ্গে ক্রিকেটের ফাস্ট বোলারদের স্ট্রেংথ ট্রেনিংকে তুলনায় টানা যায়। এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হলেও, শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের নিয়েই কাজ করতে চাই। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারিনি। কিন্তু ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে জাতীয় দলের সেবা করতে চাই।”