সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় বদলে যায়। বদলে যায় প্রতিপক্ষ। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভাগ্য আর বদলায় না। কখনও ইংল্যান্ড (England)। কখনও আবার বিপক্ষ বদলে হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া (Australia)। তবে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়কের মন খারাপ করা মুখটা একইরকম থাকে যায়। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১১ জুন। আর এবার এর সঙ্গে যোগ হয়ে গেল ১৯ নভেম্বরের রাত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর, চলতি বছরের জুনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে পরাজয়। সেবার বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে ১৬৩ রান করেছিলেন ট্রাভিস হেড (Travis Head)। এবারও সেই বাঁহাতি অজি ওপেনারই ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিলেন। ১২০ বলে ১৩৭ করেন হেড। মারলেন ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। তাঁর সেই ইনিংস দেখেই তো চোখের জলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন রোহিত।
ম্যাচের শেষে পোস্টমর্টেম করতে এসে রোহিত বলেন, “আমরা একেবারেই ভালো খেলতে পারিনি। তাই জেতার আশা করাও উচিত নয়। ২৪০ রান এই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট নয়। আরও ২০-৩০ রান করতে পারলে জয়ের জন্য লড়াই করা যেত। কিন্তু আমরা পারলাম না। তবে ফাইনাল ছাড়া বাকি ১০ ম্যাচে সতীর্থরা দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। ওদের জন্য আমি গর্বিত।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ী হওয়ার স্বপ্ন অধরা, পর্দার আড়ালেই থেকে অস্তাচলে গেলেন রাহুল দ্রাবিড়]
৮১ রানে ৩ উইকেট চলে যাওয়ার পর জুটি গড়েন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। সেই সময় অজি বোলাররা দারুণ ছন্দে থাকলেও, রোহিত মনে করেন দুই তারকা ক্রিজে আরও কিছুক্ষণ থাকলে ২৭০-২৮০ রানে তুলে দেওয়া কঠিন কাজ ছিল না। বলছিলেন, “আমাদের আরও পরিকল্পনা মাফিক ব্যাট করা উচিত ছিল। বিরাট ও কেএল রাহুল থাকলে রান অন্তত ২৭০-২৮০ রানে চলে যেত। কিন্তু ওদের জুটি ভাঙতেই সব হিসাব বদলে যায়।”
তবে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেলেও, ভারতের কাছে ম্যাচ জেতার সুযোগ চলে এসেছিল। জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ শামির দাপটে মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় অজিরা। তবে সেই সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশানে। রোহিত ফের যোগ করেছেন, “আমরা চেয়েছিলাম ওদের উইকেটগুলো যত দ্রুত সম্ভব তুলে ফেলতে। শুরুতে সেটা পেরেওছিলাম। কিন্তু পরের দিকে সেটা সম্ভব হয়নি। ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশানেকে অনেক শুভেচ্ছা। তবে আমার মনে হয়, ফ্লাডলাইডের আলোয় ব্যাট করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।”
পিচ নিয়েও কোনও অজুহাত দিতে চাননি রোহিত। বলেছেন, “আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম আলোর নীচে ব্যাট করা সহজ হবে। চাই না এটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে। আমরাই আগে ব্যাট করে বেশি রান করতে পারিনি। পেসাররা তিনটে উইকেট নিয়ে আমাদের সুবিধা করে দিয়েছিল। কিন্তু ওই জুটিই আমাদের শেষ করে দিল।” দুই অজি ব্যাটার চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১৯২ রান। সেটাই ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ। এমনটাই মনে করেন চোখের জলে মাঠ ছাড়া রোহিত।