স্টাফ রিপোর্টার: ঋদ্ধিমান সাহা বনাম বাংলা নিয়ে ভালরকম বিতর্ক চলছিল। আগের দিনই ঋদ্ধি টিমের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। তখনই মোটামুটি বোঝা যাচ্ছিল তিনি আর বাংলার হয়ে খেলবেন না। এদিন সিএবির (CAB) তরফ থেকে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, নকআউটে বাংলা ঋদ্ধিমান সাহাকে পাচ্ছে না।
গত দু-তিনমাস ধরেই এটা নিয়ে ভালরকম বিতর্ক চলছিল। সিএবির এক কর্তা বাংলার প্রতি ঋদ্ধিমানের (Wriddhiman Saha) দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অথচ বাংলা ক্রিকেট কেন, ক্লাব ক্রিকেট থেকে শুরু করে এমনকী, অফিস ক্রিকেটেও ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ওই সিএবির কর্তার এ-হেন বিবৃতি প্রচণ্ড আঘাত করে ঋদ্ধিকে। তার পরের ঘটনা কিছুদিন আগের। টিম নির্বাচনের দিন কয়েক আগে সিএবি কর্তারা মহম্মদ শামিকে (Mohammad Shami) ফোন করে জানতে চান তাঁকে রনজি (Ranji Trophy) নকআউটে পাওয়া যাবে নাকি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ঋদ্ধিমানের কাছে ফোন যায়নি। অথচ কোনও কোনও কর্তা বলেছিলেন ঋদ্ধিকে তাঁরা ফোন করবেন। কিন্তু ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটারকে কোনওরকম ফোন না করেই তাঁকে রনজি টিমে রেখে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়ার পরে এলাকায় ছড়াচ্ছে বিশৃঙ্খলা, দাবি মসজিদ কমিটির]
স্বাভাবিকভাবে গোটা ঘটনায় প্রচণ্ড ব্যথিত হন ঋদ্ধি। বঙ্গ ক্রিকেট মহলে বলাবলি শুরু হয়ে যায় যে, পনেরো বছর বাংলার হয়ে খেলার পর এরকম অপমান ঋদ্ধির প্রাপ্য ছিল না। বাংলা টিম ঘোষণার পরেরদিনই ঋদ্ধি সিএবির এক কর্তাকে ফোন করে জানিয়ে দেন, যেভাবে সিএবি এক কর্তা প্রকাশ্যে তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সেটা নিয়ে সিএবি কী ভাবছে? এই ব্যাপারে অবশ্য সিএবি নীরব থাকে। তারপরই ঋদ্ধি সিদ্ধান্ত নেন তিনি বাংলা ছাড়বেন। সেটা সিএবির প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে (Abhishek Dalmiya) জানিয়ে দেন। অভিষেক অবশ্য ঋদ্ধিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বাংলা কোচ অরুণ লাল (Arun Lal) ফোন করে বোঝান। কিন্তু ঋদ্ধি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
[আরও পড়ুন: গেম খেলতে মোবাইল দেয়নি ভাই, রাগের মাথায় পাথর ছুঁড়ে খুন করল নাবালক দাদা!]
এদিন সিএবি প্রেসিডেন্ট এই বিবৃতিতে জানান, ‘‘বাংলা গ্রুপ শীর্ষে থেকে নকআউটে গিয়েছে। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন বাংলা নকআউট পর্যায়ে লড়াই করবে, তখন সিএবি প্রবলভাবে চাইছিল যাতে ঋদ্ধিমান সাহা খেলুন। আমি নিজেও ঋদ্ধিকে ওর সিদ্ধান্তটা পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু ঋদ্ধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিয়েছে যে ও রনজির নকআউটে খেলতে চায় না।’’ যার ফলে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল ঋদ্ধিকে আর বাংলা জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে না।