সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁহাতি জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সমস্যা অনেক পুরনো। মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)-শাহিন শাহ আফ্রিদির (Shaheen Shah Afridi) মতো জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে একাধিকবার খালি হাতে ফিরেছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক। যদিও সঞ্জয় মঞ্জরেকরের (Sanjay Manjrekar) মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারের দাবি, হিটম্যান তাঁর এই পুরনো রোগ সারিয়ে ফেলেছেন। এবং সেইজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে আসন্ন দুই টেস্টে রোহিতকে আরও আগ্রাসী মেজাজে দেখাবে।
রামধনুর দেশে লাল বলের ক্রিকেটের রোহিতের অতীত রেকর্ড একেবারেই আহামরি নয়। এরমধ্যে এবার তাঁকে কাগিসো রাবাদা (Kagiso Rabada)-মার্কো জ্যানসেনদের (Marco Jansen) বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে রোহিতের ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে আলোচনা হতেই প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার মঞ্জরেকর বলেন, “অনেকেই বাঁহাতি জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে রোহিতের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করছে। তবে আমার মতে রোহিত বাঁহাতি জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে সব সমস্যা অনেক আগেই কাটিয়ে তুলেছে। বিশ্বকাপের আগে ও কাপযুদ্ধের সময় মিচেল স্টার্কের বিরুদ্ধে অনায়াসে খেলেছে রোহিত। এমনকি এশিয়া কাপ থেকে বিশ্বকাপ, শাহিনের বিরুদ্ধে খুব ভালোভাবে খেলেছে রোহিত। অথচ এই শাহিনের বিরুদ্ধেই ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত কিন্তু একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি। তবে এহেন রোহিত কিন্তু নিজের দমে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। ফ্রন্টফুট-ব্যাকফুটে ওর পায়ের মুভমেন্ট দেখার মতো। এবং সেইজন্য রোহিত এখন টেস্ট ব্যাটার হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত।”
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে তুলে ধরলেও, একটা সময় পর্যন্ত রোহিত টেস্টে তেমন পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না। তবে গত কয়েক বছরে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে আরও ভালো ব্যাটার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন রোহিত। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে আগ্রাসী মেজাজে মাঠে নামলেও, টেস্টে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্রিজে অনেকটা সময় দিচ্ছেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে দেখে খেলার ব্যাপারেও রোহিতের বদল দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হঠাৎ দেশে ফিরলেন বিরাট]
সেটা মনে করিয়ে মঞ্জরেকর ফের যোগ করেছেন, “ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রোহিত যেভাবে খেলছে, টেস্টে কিন্তু সেভাবে ব্যাট করছে না। এটা দারুণ ব্যাপার। এবং রোহিতের ব্যাটিংয়ে এই বদল দেখা যাচ্ছে গত ইংল্যান্ড সফর থেকে। সেই সিরিজে ওপেনার হিসেবে রোহিত দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিল।”
তবে মঞ্জরেকর ভারতের মহাতারকার হয়ে সওয়াল করলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কিন্তু রোহিত একেবারেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২০১৩ থেকে ২০১৮, দুবার প্রোটিয়াদের দেশে গিয়ে ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে রোহিতের রান মাত্র ১২৩। সর্বাধিক ৪৭। গড় ১৫.৩৭। এহেন রোহিত কি এবার নিজের পরিসংখ্যান আরও ভালো করতে পারবেন?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বক্সিং ডে টেস্ট। এর পর নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। রোহিতের অধিনায়কত্বে এবার টিম ইন্ডিয়া ইতিহাস গড়তে পারে কিনা সেটাই দেখার।