সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর করোনা (Covid-19) আবহেই আগামী মাসেই জাপানে শুরু হতে চলেছে অলিম্পিক (Tokyo Olympic)। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এই পরিস্থিতিতে স্টেডিয়ামগুলিতে দর্শক প্রবেশের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল প্রতিযোগিতার সংগঠকরা। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, জাপানের স্টেডিয়ামগুলিতে মোট দর্শকাসনের ৫০ শতাংশকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সবমিলিয়ে ১০ হাজার জন দর্শকই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। তার বেশি কোনওভাবে নয়। যদিও বিদেশি দর্শকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।
সোমবার অলিম্পিকের আয়োজকদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হল, “করোনা আবহে পাবলিক ইভেন্টগুলিতে সরকারের জারি করা নির্দেশ মেনে আসন্ন অলিম্পিকে স্টেডিয়ামগুলিতে ৫০ শতাংশ দর্শকের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক ভেন্যুতে দশ হাজার জন পর্যন্ত দর্শক প্রবেশ করতে পারবেন।” তবে প্যারা অলিম্পিকে কতজন দর্শক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ জুলাই গ্রহণ করা হবে। যদিও আয়োজকদের তরফ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার সংক্রমণ যদি বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে স্টেডিয়ামগুলিকে দর্শক প্রবেশে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাকি প্রতিযোগিতা ‘ক্লোজড ডোর’ আয়োজিত হবে। গেমসের সংগঠক, জাপান সরকার, টোকিও প্রশাসন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং আন্তর্জাতিক প্যারা অলিম্পিক কমিটির বৈঠকের পরই এদিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: যমজ পুত্রসন্তানের বাবা হলেন Usain Bolt, দুই নবজাতকের নাম নিয়ে নেটদুনিয়ায় হইচই]
এদিকে, গত বছর করোনা আবহে অলিম্পিক স্থগিত হওয়ার আগে এই প্রতিযোগিতার ৪.৪৫ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি করে ফেলেছিলেন আয়োজকরা। এছাড়া প্রায় ১ মিলিয়ন প্যারা অলিম্পিকের টিকিটও বিক্রি হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু স্টেডিয়ামে দর্শকসংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে, তাই যাঁদের কাছে টিকিট রয়েছে তাঁদের মধ্যে লটারি করা হবে। যাঁরা জিতবে তাঁরা স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। যদিও প্রথমদিন থেকেই জাপানিরা টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের বিরুদ্ধে। এমনকী সেদেশের একাধিক গবেষকের দাবি, করোনা আবহে প্রতিযোগিতা শুরু করলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
