সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) এখন যা পরিস্থিতি, ১৯৯১ সালে তেমনই অবস্থা হয়েছিল ভারতের। এবং ভারতের মতো শ্রীলঙ্কাও এই বিপদ কাটিয়ে উঠবে। তবে সেজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হতে হবে। এমনই দাবি দ্বীপরাষ্ট্রের সাংসদ ও বিরোধী নেতা হর্ষ ডিসিলভার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার তিনি এই কথা বলেন।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা যে পরিস্থিতিতে পড়েছে তার সঙ্গে মিল রয়েছে ১৯৯১ সালের ভারতের। সেই সময় ড. মনমোহন সিং ও মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার দক্ষতা ও সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি একজোট হওয়ায় পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। শ্রীলঙ্কাও এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, যদি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি একজোট হয়। কিন্তু দলগুলি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকলে পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হবে। প্রেসিডেন্টকে এবার এমন এক মঞ্চ তৈরি করতে হবে, যেখানে সব দলগুলি একসঙ্গে দাঁড়াতে পারে।”
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির জের, উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাস ভরতে পারেননি ৯০ লক্ষ গ্রাহকই]
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। শনিবার ১২ ঘণ্টার জন্য তুলে নেওয়া হয় কারফিউ। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করতে শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা দলের চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন বিক্রমসিংহে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই শ্রীলঙ্কা প্রশাসন পরিষ্কার করে দেয়, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রতিবাদীরা। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে কলম্বোর বাড়ি ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে আরজিও জমা পড়েছে আদালতে।