গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর পরিবারের ১০ চাকরি প্রাপককে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য চার-পাঁচ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ১৩ চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলায় ওই ১৩জনকে পার্টি করার নির্দেশও দেওয়া হল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে। ইতিমধ্যেই SSC নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। এমন পরিস্থিতিতেই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও কড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। এদিন মামলার শুনানিতে জানানো হয়, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর পরিবারের ১০ চাকরি প্রাপককে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা করেছেন শুভেন্দু! কড়া ব্যবস্থার দাবি কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবীদের]
বিচারপতির বক্তব্য, “বিশ্বম্ভর মণ্ডল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) দেহরক্ষী ছিলেন। এই নিয়োগের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। দেহরক্ষীর পরিবারের ১০ সদস্য চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।” বিষয়টি তাই খতিয়ে দেখতেই ওই ১০জনকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এদিকে যে ১৩ চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ৪-৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে, তাঁদের মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে তাঁদের হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিন হাই কোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে যুক্ত করা এবং রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন চাকরিপ্রার্থীদের তরফের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ১৩ জন চাকরিপ্রার্থী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য চার-পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়েছেন বিধায়ক তাপস সাহা। তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।