সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তিগত জটিলতা ও জেল আর কোর্টের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে শুক্রবার আদালতে হাজিরই করা হল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ আদালত। আগামী সোমবার পার্থকে আদালতে পেশ করতে হবে।
আগের শুনানিতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অর্থাৎ আজ তাঁকে আদালতে তোলার কথা। একই সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদেরও আদালতে পেশ করার কথা। ২৮ অক্টোবর পরবর্তী শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জানা গিয়েছে, ঘটনাচক্রে শুক্রবার সকালে পার্থ-কল্যাণময়-সুবীরেশের ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভ্যাকেশান কোর্টে। অর্থাৎ জেলের তরফে মনে করা হয়েছিল যে ভারচুয়ালি শুনানি হবে।
[আরও পড়ুন: টাকার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে হুমকি! অজান্তেই মানিকের ‘পকেট ভরান’ সাড়ে ৪৯ হাজার বিএড পড়ুয়া]
কিন্তু ভ্যাকেশান কোর্টে ভারচুয়ালি শুনানির ব্যবস্থা নেই। ফলে এদিন শুনানি সম্ভব হল না। সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই ভুল বোঝাবুঝিতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ আদালত। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকিদের সশীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিনের ঘটনায় প্রবল অসন্তুষ্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, চার্জশিট পেশের পর শুক্রবারই ছিল প্রথম শুনানি। ফলে এদিন প্রথমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন জানাতেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু ঘটনাচক্রে হল না শুনানিই।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। নিজেদের দাবিতে সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই একে একে গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনকে।