সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ৯ আগস্টের ঘটনার পর ১৮ দিন কেটে গেলেও উত্তেজনা বিন্দুমাত্র কমেনি। যাদবপুরের (Jadavpur University) প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে নানারকম জল্পনা বহাল, তখন বিশিষ্টমহল ধীরে-সুস্থে মৌনতা ভেঙেছে। সম্প্রতি যাদবপুরকাণ্ডে খুনের বিচার চেয়ে পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা। সরব হন তারকা সাংসদ দেবও। এবার প্রতিবাদী সুর শোনা গেল প্রাক্তনী চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjit Chakraborty) তরফে।
সম্প্রতি এক চিত্রকলা প্রদর্শনীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। যিনি যাদবপুরের প্রাক্তনীও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাগিং কালচার নিয়ে বিরক্ত চিরঞ্জিত বলেন, “ন্যক্কারজনক। ভাবা যায় না! ব়্যাগিং হয় জানতাম, তা বলে এইরকম? একটা ছেলে ১০৪ নম্বর রুম থেকে ৬৫-৬৮ নম্বর রুম থেকে বাঁচার জন্য দৌড়োদৌড়ি করছে। আর প্রত্যেক অ্যাঙ্গেলেই ছেলেদের দল তাঁকে আটকানোর জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। একেবারে অসহায়…। যেভাবে বাঘ, হায়নারা নিরীহ হরিণ ছানাকে মারতে ঘিরে ধরে, সেরকমই আচরণ করা হয়েছে ছেলেটির সঙ্গে। লজ্জাজনক।”
এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও নিশানা করেন চিরঞ্জিত। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপাল হঠাৎ করে ভাইস চান্সেলর হিসেবে বসিয়ে দিল। আবার ১০ দিন বাদে সরিয়ে দিল। আবার শুনছি নিজের একজন লোককে ওখানে বসিয়ে দিয়েছে। রাজ্যপাল পুরো ক্ষ্যাপা।”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ইমতিয়াজ আলি, মাত্র ৫৪ টাকায় ফুটপাতে চা-কচুরি খেয়ে আহ্লাদে আটখানা]
চিরঞ্জিত তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, “আমার ছাত্রজীবনে এরকম কোনও খারাপ ঘটনা ঘটেনি। দু-একটা ব়্যাগিং হয়তো হয়েছিল। তবে এমন নয়। বরং তখন দুর্গাপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে খুব হত। পরিচিতরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনাত।”
গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। ব়্যাগিংয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। নাবালক হওয়ায় রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও। ইতিমধ্যেই নদিয়ার বগুলায় নিহতের বাড়িতেও যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।