সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম খেতে ভালবাসে না, এমন মানুষের দেখা মেলে কঠিন৷ অন্যান্য ফলের তুলনায় গ্রীষ্মে আমের চাহিদা থাকে যথেষ্টই বেশি৷ আম বিক্রি করে কৃষকদের লক্ষ্মীলাভ হয় ভালই৷ আম চাষ করে বেশি লাভের মুখ দেখতে হলে যত্ন শুরু করুন বর্ষার মরশুমে৷
[বর্ষায় মাছের রোগ সারাতে ব্যবহার করুন প্রচুর পরিমাণ চুন]
আমের চারা বসানোর নিয়ম: বর্ষার মরশুমেই আমের চারা লাগাতে হবে। বৃষ্টি কম থাকলে বর্ষার শুরুতে এবং বৃষ্টি বেশি থাকলে বর্ষার শেষে চারা লাগাতে হবে। ভালো জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে। এক মিটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার গর্ত খুঁড়ে আমের চারা বসানো উচিত। দু’টি চারার মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব হতে হবে দশ মিটার। এই নিয়মে গাছ লাগালে এক হেক্টর জমিতে প্রায় একশোটি চারা বসানো যাবে।
[একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই বর্ষাকালীন টমেটো চাষে লাভের মুখ দেখছে কাঁকসা]
[ধান জমিতে রাঢ় বঙ্গে ডাল ও তৈলবীজ চাষের বিপুল সম্ভাবনা]
সার: আম গাছের চারা বসানোর সময় নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা বসানোর সময় ২০ কেজি শুকনো গোবর সার, ৪০ গ্রাম ফসফেট লাগবে। এক বছরের গাছের জন্য লাগবে ২০ কেজি গোবর সার, ১০০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ৫০০ গ্রাম ফসফেট, ৭৫০ গ্রাম পটাশ। সমস্ত সার মিশিয়ে দু’ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি ভাগ দিতে হবে বর্ষা শুরুর সময়। বাকি অর্ধেক বর্ষা শেষের দিকে দিতে হবে।
[বর্ষায় দক্ষিণ দিনাজপুরে জোরকদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ]
আম গাছে পোকার উপদ্রব: বর্ষায় আমগাছে কিছু পোকার উপদ্রব দেখা দিতে পারে। যেমন, শাখা ছিদ্রকারী পোকা, ছাল খেকো পোকা, পাতা কাটা পোকা, শোষক পোকা, শাখায় গুটি সৃষ্টিকারী পোকা এবং ফলের মাছি। এছাড়াও রয়েছে আমের ক্ষত রোগ এবং মরচে ধরা রোগ। ছালখেকো পোকা বর্ষায় গাছের ছালের নীচে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে পোকা বের হয়। সেই পোকা গাছের কাণ্ড ফুটো করে দেয়। শোষক পোকা পাতার ক্লোরোফিলের সবুজ ও আমের রস শুষে খায়। মাছির উপদ্রব হলে আমের গায়ে দাগ হয়ে যায়। আক্রান্ত ফল পচে যায়, ঝরে পড়ে।
The post বেশি লাভের মুখ দেখতে হলে, বর্ষার মরশুমেই শুরু করুন আমের চাষ appeared first on Sangbad Pratidin.