সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রেমের টানে যুবকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিল সে। তবে বাবার অভিযোগে পুলিশ তাদের ধরে আনে। হোমে কয়েকদিন থাকার পর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেন বাবা। ইদানীং প্রেমিকের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল স্কুলছাত্রী। আর সেই ক্ষোভে টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ঢুকে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত যুবকের। গলায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে কিশোরী। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। তবে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তার বাবা। গড়বেতার রসকুণ্ডু হাইস্কুলের ঘটনায় জোর শোরগোল।
বুধবার ছিল মাধ্যমিক টেস্টের দ্বিতীয় দিন। ইংরাজি পরীক্ষা শুরুর আগে সওয়া দশটা নাগাদ নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাঁর মেয়েকে স্কুলে দিতে আসেন। স্কুলের দরজায় মেয়েকে ছেড়ে তখনও তিনি ফিরে আসেননি। ঠিক ওই সময়ই পিছনে বাথরুমের দিক থেকে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে গোবিন্দ বিশ্বাস নামে স্থানীয় যুবক। ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েটির উপর। তার গলা লক্ষ্য করে ছুরি চালানোর চেষ্টা করে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামলেও ফেরা হবে না ‘বাড়ি’, পণবন্দি হয়েই মৃত্যু ইজরায়েলি বৃদ্ধার]
মেয়েটি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টাও করে। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা ছুটে আসে। আবার গেটের সামনে থাকা তার বাবাও বিপদ বুঝে স্কুলের ভিতরে মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে যায়। ততক্ষণে ওই যুবকটি বেপরোয়া হয়ে ছাত্রী ও তার বাবাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে শুরু করে। তাঁরা দুজনেই ভর্তি হাসপাতালে।
স্কুলে থাকা অন্যান্যরা ওই যুবককে ধরে ফেলে। চলে আসেন শিক্ষকরাও। তাকে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই যুবকের সঙ্গে মাসকয়েক আগে তারা পালিয়েও যায়। মেয়েটির বাবার অভিযোগে পুলিশ তাদের ধরেও আনে। নাবালিকা থাকায় মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়। সম্প্রতি মেয়েটি নিজের বাড়ীতে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে সে আর তার প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়নি বলেই খবর। প্রত্যাখ্যাত হয়ে যুবকটি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধৃত ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গড়বেতা থানার পুলিশ।