shono
Advertisement

হস্টেলের বাইরে মামাকে দেখেই ছুট, ঘরে ঢুকে হাতের শিরা কাটল ছাত্রী!

কেন এমনটা করলেন ছাত্রীটি?
Posted: 09:37 PM Feb 20, 2022Updated: 09:37 PM Feb 20, 2022

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হস্টেলের দরজা বন্ধ করে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন নার্সিং ট্রেনিংয়ের (Nursing Training) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। গোটা ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বজবজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে। ঘরের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নার্সিংয়ের ছাত্রী বছর কুড়ির পৌষালী অধিকারী রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা। বজবজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের নার্সিং ট্রেনিংয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। আজ, রবিবার ছিল পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে হস্টেলে ফেরার সময় কলেজের গেটের সামনে ছাত্রীটি তাঁর মামাকে দেখতে পান। তাঁকে দেখেই দৌড়ে সেখান থেকে হস্টেলের দিকে পালিয়ে যান পৌষালী। হস্টেলে এসে নিজের ঘরে ঢুকে পড়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন।

[আরও পড়ুন: সাংবাদিকের হুমকির মুখে ঋদ্ধিমান! একযোগে গর্জে উঠলেন শেহওয়াগ-হরভজনরা]

লেডিস হস্টেলে ঢোকার অনুমতি পাননি মামা। কিন্তু তাঁকে দেখেই যে ভাগ্নি ছুটে চলে যান, সে বিষয়টি হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। এরপর হস্টেলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রীকে নিয়ে সকলে মিলে ওই ছাত্রীর ঘরের দরজার সামনে পৌঁছে যান কর্মীরা। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া মেলে না পৌষালীর। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সকলে। হস্টেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশমত এরপর ভাঙা হয় দরজা।

ঘরে ঢুকে সকলে দেখেন, হাতের শিরা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে রয়েছেন ওই ছাত্রী। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই ছাত্রীর হাতে পাঁচটি সেলাই পড়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু ঠিক কী কারণে পৌষালী আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। পারিবারিক সমস্যা নাকি অবসাদ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি, তদন্তে নেমে তা খতিয়ে দেখছে বজবজ থানার পুলিশ। এ নিয়ে আবার মুখে কুলুপ এঁটেছে ছাত্রীর পরিবার এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষও।

[আরও পড়ুন: দাদার নজর এড়িয়ে হবু বউদির সঙ্গে প্রেম ও সহবাস, বিয়ের পরই শ্রীঘরে ভাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement