সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। পরে বাবার হাত ধরে দল ছাড়েন শুভ্রাংশু রায়। বিজেপিতে গিয়ে বিশেষ সুবিধা হয়নি। একুশের বিধানসভায় নিজের আসন বীজপুর থেকেও হারতে হয়েছে তাঁকে। তারপর আবার বাবার হাত ধরেই ঘাসফুলে প্রত্যাবর্তন। কিন্তু তৃণমূলে (TMC) ফিরে কতটা গুরুত্ব পাবেন বীজপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী? শাসকদলের অন্দরেই চলছে জল্পনা।
মুকুল-শুভেন্দুদের যোগদানের সময় সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, মুকুল আগের মতোই কাজ করবেন। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় কাজে লাগানো হবে। শুভ্রাংশুকে নিয়ে কিছু বলেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে, তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মুকুলের মতো শুভ্রাংশুকেও (Subhranshu Roy) যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে দল। শোনা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে বড় কোনও দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে তাঁকে। এমনকী মুকুল যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে উপনির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড় করানো হতে পারে, এমন জল্পনাও শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) টিকিটে বিধানসভায় আসা মুকুল শীঘ্রই বিধায়ক পদ ছাড়তে পারেন। তা যদি হয়, তাহলে তাঁর ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম দাবিদার হবেন শুভ্রাংশু।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে শুরু থেকেই ‘অস্বস্তি’তে ছিলেন মুকুল, ঘরে ফিরলেন শান্তির খোঁজে!]
শুধু তাই নয়, দলের অন্দরে জল্পনা, যুব তৃণমূল কংগ্রেসেও নিজের হৃত গৌরব ফিরে পেতে পারেন মুকুলপুত্র। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হয়েছেন রাজনীতিতে নবাগতা সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh)। ঘাসফুল শিবিরে জল্পনা, সায়নীর সঙ্গে কার্যকরী সভাপতির মতো কোনও পদে জুড়ে দেওয়া হতে পারে মুকুলপুত্রকে। অভিষেক যুব সংঠন ছেড়ে দেওয়ায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারেন শুভ্রাংশু। তাতে দলেরও যেমন উপকার হবে, তেমনি সায়নীরও সুবিধা হবে। যদিও, এ সবটাই জল্পনার স্তরে রয়েছে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন একমাত্র দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি এখনও মুখ খোলেননি।