সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহে (Malda) হিন্দুদের চাপ দেওয়া হচ্ছে ধর্মান্তরের জন্য। ফেসবুকে (Facebook) এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে কালিয়াচক থানার আইসি।
বিষয়টি ঠিক কী? রবিবার একটি ফেসবুক পোস্ট করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখানে বেশ কয়েকজন মহিলার ছবি। তাঁরা প্রত্যেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বসে। কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা, “কালিয়াচক থানার আইসি আমাদের মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বলছে। বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে যাতে আমরা মুসলিম হই। আমরা আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাই না।” সেখানে রয়েছে বেশ কিছু ব্যানারও। কোনওটাতে দাবি করা হয়েছে, ধর্মান্তরে রাজি না হওয়ায় পুরুষদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোনওটিতে স্বামীদের ফেরত চেয়েছেন মহিলারা। সেই ছবির সঙ্গেই দীর্ঘ লেখা পোস্ট করেন সুকান্ত।
[আরও পড়ুন: তিরিশ টাকাতেই কেল্লাফতে! লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি মৌসুনি দ্বীপের দিনমজুর]
কী ছিল সেই পোস্টে? সুকান্ত মজুমদার তাতে লিখেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার IC সাহেব এলাকার কিছু গরীব হিন্দু পরিবারকে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে, এরই প্রতিবাদে ধরনায় বসেন উক্ত পরিবারের মহিলা এবং শিশুরা। তাঁদের আরও অভিযোগ তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দেওয়া হয়। এছাড়াও ঐ এলাকায় পূর্বে দুজন হিন্দুকে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। গনতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে এবং সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হবার জন্য কোনো মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
এরপর তিনি আরও লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতা নেই এছাড়াও নানান সমস্যা আছে তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা টুকুও থাকবে না? এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে তৃতীয়বারের ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো? সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবার গুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। না হলে আগামিদিনে বিজেপি পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে।” তবে এ বিষয়ে এখনও কালিয়াচক থানার আইসির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।